শামসুদ্দিন পেয়ারা: কলকাতা আমার অতি প্রিয় শহর। যদিও এ শহরে ঘোরাঘুরি করার খুব একটা অভিজ্ঞতা আমার নেই। মার্কুইস স্ট্রীটের প্যারাডাইস হোটেল ও নিউ মার্কেটের ওদিকে ১০, সদর স্ট্রীটের বাইরে তেমন আর কোনও জায়গা চিনি না। আমাদের মৃত্যুর অনেক বছর পরে দক্ষিণ এশিয়ার বাঙলাভাষীদের যে একক রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হবে নাম তার যা’ই হোক রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জনমিতিক কারণে তার রাজধানী হয়তো ঢাকাতেই থেকে যাবে। কেলকাতা হয়তো সে রাষ্ট্রের রাজধানী হবে না। তবে বৃহৎবঙ্গের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি, রুচি ও জীবনযাত্রার মানদণ্ড ও কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কলকাতা সব সময় বাঙালির প্রথম ও প্রধান শহর হয়েই থাকবে।
এ শহরে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় গান গাইতেন, উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনয় করতেন, আত্মমগ্ন জীবনানন্দ ঘুরে বেড়াতেন, নজরুল প্রেম ও বিদ্রোহের গান লিখতেন, ঘনা দা ও হর্ষবর্ধন-গোবর্ধনের শহর এই কলকাতা, প্রাইভেট ডিটেকটিভ দীপক চ্যাটার্জি, রহস্যভেদী কিরিটী রায় ও দস্যু মোহনের শহর এই কলকাতা, সতী, লক্ষ্মী, বিন্তি ও অঘোর দাদুর শহর এই কলকাতা, চৌরঙ্গী, ডালহৌসি, খিদিরপুর, ডায়মন্ড হারবারের শহর, বুকে বুক মিলিয়ে পৃষ্ঠে ছুরিকাঘাত করার, দাঙ্গা, ভালোবাসা, রক্তপাত ও অশ্রুপাতের শহর এ কোলকাতাÑ সর্বোপরি বাঙালির প্রাণের শহর এই কলকাতা। এখানে ছন্দসিংহাসনে বসে ত্রিকাল শাসন করেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। এ শহর আমাদের সবার শহর। এ শহর সকল বাঙালির শহর! ফেসবুক থেকে