শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩, ০২:২৩ রাত
আপডেট : ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩, ০২:২৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাঠ্যপুস্তক নিয়ে চলমান সমালোচনা ও বিতর্ক অনেকাংশেই একতরফা

শওগাত আলী সাগর

শওগাত আলী সাগর: গত কয়েকদিন ধরে পাঠ্যপুস্তক নিয়ে যে তুমুল সমালোচনা এবং বিতর্ক চলেছে তা অনেকাংশেই একতরফা। বিবর্তনবাদ বাংলাদেশের আগেও পড়ানো হয়েছে, কখনো এ নিয়ে প্রতিবাদ তো পরের কথা আলোচনাই হয়নি। কিন্তু এবার কেন হচ্ছে? স্কুলে বিবর্তনবাদ পড়ানো নিয়েই প্রতিবাদ হচ্ছে- উপরের অন্যকোনো ক্লাসে এটি পড়ানো হয় কিনা, সেটি নিয়ে কিন্তু কোনো আলোচনা নেই। যারা বিবর্তনবাদ এর সমালোচনা করছেন তাদের অনেকেই সত্য মিথ্যা মাখিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে কল্পকাহিনীও ছড়িয়েছেন। তার বিপরীতে শক্ত কোনো অবস্থান দেখা যায়নি। তাতে ধারণা  করা যায়, বাংলাদেশের সামগ্রিকভাবে বিজ্ঞানের ভিত্তি খুবই দুর্বল। বাংলাদেশের বৃহত্তর জনমানুষের মানস গড়ে উঠেছে বিজ্ঞানকে উপেক্ষা করে। এর কারণ কী?

বাংলাদেশের এই যে এতো লেখক- তারা আসলে কী লিখেছেন? তারা কী লেখেন? সাধারণভাবে মনে করা হয়, লেখকরা একটা সমাজের মনন গড়ে তুলেন, বই পত্র একটি সমাজের কাঠামো নির্মাণ করে। বাংলাদেশের লেখকরা, তাদের লেখা বইপত্র সমাজের মানুষের কোন ধরনের  মানস তৈরি করেছেন? লেখকদের নিজেদের মানসগঠনটাইবা কীরকম?

শোনা যাচ্ছে, পাঠ্যবই থেকে বিবর্তনবাদ সরিয়ে ফেলার কথা ভাবছে সরকার। এটি নিয়েও তুমুল সমালোচনা হবে। সরকার মৌলবাদীদের কাছে মাথানত করেছেÑ এমন কথাও বলা হবে। কিন্তু বিবর্তনবাদ নিয়ে জোড়ালো বিজ্ঞানভিত্তিক কোনো আলোচনা হয়তো চোখে পরবে না, যেমন গত কয়েকদিনে পড়েনি। লেখক: কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়