শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩, ০২:৪৬ রাত
আপডেট : ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩, ০২:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আপনার কাজগুলোকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেন!

হুমায়ুন কবির

হুমায়ুন কবির: আপনি যাই করেন, আপনার কাজগুলোকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেন, দেখবেন আপনাকে আর কোনো কাজ করতে হচ্ছে না। কাজগুলো অটোমেটিক হয়ে যাচ্ছে। আপনি ভাত খেয়ে হাত ধুয়ে থাকেন, এটা একটা কাজ। এই কাজটা ছোটোবেলা থেকে করতে করতে আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। এজন্য খাবার পর আপনি অটোমেটিক হাত ধুয়ে ফেলেন। এর জন্য আপনাকে আর আলাদা করে এফোর্ট দিতে হয় না। ইংরেজিতে এই বিষয়টাকে রিফ্লেক্স বলা হয়। অক্সফোর্ড ডিকশানারি রিফ্লেক্স শব্দটাকে বলেছে, যে কাজটা আমরা সচেতন কোনো চিন্তাভাবনা না করে কিংবা নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে না গিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করি সেটাই রিফ্লেক্স। আপনারা যাঁরা খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন, ভেবে দেখুন, একটা নির্দিষ্ট টাইমে অটোমেটিক আপনার চোখ খুলে যায়, চেষ্টা করেও আর ঘুমুতে পারেন না কিংবা যাঁরা রাতে ঘুমুতে যাবার আগে প্রতিদিন একগ্লাস পানি খান, দেখবেন, একটা নির্দিষ্ট সময়ে আপনার অটোমেটিক পানির তৃষ্ণা পেয়ে যায়। এটাই মূলত রিফ্লেক্স। এরকম রিফ্লেক্সের আরও উদাহরণ দেওয়া যায়Ñ কেউ কেউ প্রতি সন্ধ্যায়, সকালে নিয়ম করে পড়তে বসে, কেউ কেউ অফিসের কাজগুলো অল্প ম্রমে খুব গুছিয়ে করে, কেউ খুব ভালো প্রোগ্রামিং করে, কেউ খুব ভালো ছবি আঁকে, গান গায়, কেউ পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করে...উপরি-উক্ত মানুষগুলোকে স্টাডি করে দেখুন, কেউ তাঁর কাজগুলো মনের বিরুদ্ধে করেন না, তাঁদের কাজগুলো অটোমেটিক হয়ে যায়।
এই অটোমেটিক হয়ে যাওয়াটা এমনি এমনি হয়ে গেছে? রাতারাতি হয়ে গেছে? না, এসব একদিনে হয়নি, ছোটো ছোটো কিছু অভ্যাস গড়ে তোলেন সফলরা। সেগুলোর পেছনে লেগে থাকেন দীর্ঘ সময়। এরপর একদিন সেই কাজগুলো তাঁদের রিফ্লেক্সে পরিণত হয়ে যায়। আর আমরা তাঁদের দেখে বলি, ওই লোকটা মেধাবী, অল্প শ্রমেই লোকটার সব হয়ে যায়। আমাদের মাথায় অসংখ্য নিউরন রয়েছে। যাঁদের সফল বলে জানি, যাঁরা তাঁদের কাজগুলো গুছিয়ে করে থাকেন, যাঁরা নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে চলেন, দেখা যায় তাঁদের নিউরনগুলো খুব সুবিন্যস্ত। অপরদিকে এলোমেলো জীবন- যাপন করা মানুষগুলোর নিউরনও এলোমেলো। নিউরনের সুবিন্যস্ততাই মূলত মেধা। যার নিউরন যতো বেশি সুবিন্যস্ত, সে ততো মেধাবী। নিউরনকে সুবিন্যস্ত করবার একমাত্র উপায় হলো, সুবিন্যস্ত কাজ করা। আর কাজের মধ্যে বিন্যাস আনতে হলে উক্ত কাজে অভ্যস্ত হবার বিকল্প কিছু নেই। অভ্যাস গড়ব কী উপায়ে? অভ্যাস গড়া কি খুব কঠিন কিছু? না, অভ্যাস গঠন খুব কঠিন কিছু না। ছোটো ছোটো কিছু পরিবর্তন এনে, ছোটো ছোটো কিছু কাজ একটানা বেশ কিছুদিন করে অভ্যাস তৈরি করা যায়। সম্প্রতি জেমস ক্লিয়ারের লেখা ‘এটমিক হ্যাবিটস’ বইটা পড়ছি। এটম মানে খুব ক্ষুদ্র কোনো কণা, যা আর ভাঙা যায় না, এটম থেকেই এটমিক কথাটা এসেছে। হ্যাবিট মানে নিয়মিত কোনো কাজ করা, নির্দিষ্ট কোনো অবস্থায় স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া দেখানো। এই বইটিতে খুব সহজ, সুন্দর উপায়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে বড় কিছু অর্জনের রূপরেখা বর্ণনা করা হয়েছে। আমি প্রতি সপ্তাহে একটা করে পদ্ধতি নিয়ে আমার টাইমলাইনে আলোচনা করবো। আপনারা চাইলে আমার সঙ্গী হতে পারেন এই সফরে। ছোটো হলেও, একটা ভালো অভ্যাসওয়ালা টিম তৈরি হোক আমাদের, যারা সামনে বড় কিছুর নেতৃত্ব দেবে হয়তো। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়