হোসাইন মোহাম্মদ দিদার: অনেকগুলো ম্যাচ দেখেছি। যদিও জার্মান বিদায় নিয়েছে তবে তাঁরা সেরাটা খেলেছে।যদি সেকেন্ড রাউন্ডে আসতে পারতো তাহলে সেই ধারাবাহিকতায় ফাইনাল ম্যাচ খেলার সাধ্য তাঁদের ছিলো।
স্পেন বনাম জার্মানি মতো ম্যাচটি আমার কাছে এখনো অবধি সেরা।
কী দারুণ লংপাস,বল রিসিভ, খেলোয়াড়দের বোঝাপড়া ফুটবলের যাদুকরী নৈপুণ্যসহ সকল স্কীল তাঁরা দেখিয়েছে।
আমার মতে ফাইনালের আগে এটি একটি ফাইনাল ম্যাচ ছিলো।
এদিকে এশিয়ার জাপান-দ.কোরিয়া খুব ভালো খেলে দ্বিতীয় রাউন্ড এর টিকেট নিশ্চিত করেছে।
তাঁরা জাতি হিসেবে যেমন সুশৃঙ্খল পরিশ্রমী; খেলোয়াড় হিসেবেও কঠোর পরিশ্রমী, যেকোনো মুহুর্তে এই দুই জাতি ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম।
জাপান -কোরিয়া এর আগে স্বাগতিক দল হিসেবে ২০০২ সালে কোয়ার্টার খেলেছে।সেবার তাঁদের খেলায় বিশেষ করে বাংলাদেশিরা মুগ্ধ হয়েছিলো।
এদের হাত ধরে এশিয়ায় ট্রফি আসলে আসতেও পারে।
আফ্রিকার মরক্কোর খেলায়ও আমি দারুণ মুগ্ধ।
সবগুলো খেলোয়াড় ভালো খেলে, ফিফা রেংকিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেলজিয়ামকে পরাস্ত করে দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গেছে মরক্কোর ফুটবল য্দ্ধুারা।
আফ্রিকার যেদলগুলো এপর্যন্ত খেলেছে আমার কাছে মরক্কোকেই সেরা মনে হয়।
তাঁরা শেষ মুহূর্তে ভিন্ন চমক দেখাতে পারঙ্গম।
যদি ব্যতিক্রম কিছু বা অঘটন না ঘটে তাহলে ইউরোপের ফুটবল পরাশক্তি স্পেন বা ফ্রান্স এর হাতে ট্রফি যাবে।
এদিকে আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগে নতুনত্ব এসেছে।
আক্রমণভাগের বিচারে এই মুহূর্তে আমার কাছে আর্জেন্টিনা টিম বেশ শক্তিশালী।
মেসির ফুটবল ইতিহাস লেখতে হলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অর্জনের বিকল্প নেই। মেসির সকল অর্জন উঁচিয়ে ওঠতে হলে এই শেষবারের শেষসুযোগে ট্রফি ঘরে নিতে হবে। সেই হিসেবে যদি আর্জেন্টিনা তাঁদের বর্তমান খেলার ধারাবাহিক ধরে রাখতে পারে তাহলে এই মুহুর্তে হট ফেবারিট আর্জেন্টাইন শিবির।।।
আমি যদিও আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করি না তবে একজন পরিশীলিত মার্জিত খেলোয়াড় হিসেবে মেসিকে পছন্দ করি তাই মেসির সকল অর্জন অম্লান করতে এই বার বিশ্বকাপ ট্রফি মেসিদের ঘরে গেলে অখুশি হবো না।
আপনার মতামত লিখুন :