মাহবুব কবির মিলন: ২৮ নভেম্বর এসএসসি রেজাল্ট দিয়েছে। ভিডিওতে জিপিএ ৫ পাওয়া এক পরীক্ষার্থী সাক্ষাৎকারে তার ভবিষ্যৎ জীবনের লক্ষ্য জানালো। সে ডাক্তার হবে, যেহেতু আমাদের দেশে ট্যালেন্টেড ডাক্তার নেই, তাই তার ইচ্ছা ডাক্তার হবার। সমাজ সম্পর্কে মেয়ের ধারণা দেখে অবাক হলাম। অন্যকে হেয় বা অবমাননা করে নিজেকে ট্যালেন্ট মনে করে যদি সে এই ধারণা পোষণ করে থাকে, তবে বিষয়টি একটু ভয়ের বটে। এবার বাচ্চার রেজাল্ট শিট ফেসবুকে দেওয়ার একর অদ্ভুত প্রবণতা লক্ষ্য করলাম। আপনার বাচ্চা সব বিষয়ে ৯৮/৯৯/১০০ পেয়েছে, সেটা সবাইকে জানান দেওয়ার তো কিছু নেই। এই যুগে বাচ্চার স্কুলসহ সব তথ্য প্রকাশ করে দেওয়াটা একটা চরম বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ আপনাদের অজানা নয়। বাচ্চাকে পড়ালেখার পাশাপাশি ভালো মানুষ বানান। তাদের মনে অহংকার জন্মে এমন কাজ ভুলেও করবেন না প্লিজ। কয়জন বাবা-মা সাহস রাখেন, বাচ্চার ছবিসহ রেজাল্ট প্রকাশের সাথে বলার যে, আপনাদের সৎ এবং হালাল আয়ে বাচ্চার শরীরের প্রতি ফোটা রক্ত তৈরি হয়েছে।
এবার সন্তানদের বলছি, জীবনে সব পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পেয়ে বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম হয়েও সামান্য টাকা ঘুষ খাবার উদাহরণ এই সমাজে আছে। সরি টু সে, আমাদের ভাল মানুষ দরকার। ভাল মানুষের বড়ই অভাব যে। চিন্তা চেতনার এত দ্রুত পরিবর্তন দেখে মাঝেমাঝে আতংকিত হয়ে পড়ি। বিশেষ করে যদি সেটা গার্জিয়ানদের মাঝে হয়। ৯৯ নাম্বার পাওয়া একটা বদের চেয়ে ৩৬ পাওয়া ভাল মানুষ অনেক কল্যাণকর। শুধু এটুকু মনে রাখলেই হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :