শিরোনাম
◈ শেহবাজ-জয়শঙ্করকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন, যে কথা হলো.. ◈ যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন খনিজ সংক্রান্ত চুক্তি সই: যৌথভাবে খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ কাজে লাগাতে বিনিয়োগ তহবিল গঠন ◈ বাংলাদেশ-আলজেরিয়া কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে ◈ বাংলাদেশ সব দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে: প্রেস সচিব ◈ প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আহ্বান: শ্রমিক-মালিকের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে নতুন বাংলাদেশ ◈ সরকারি চাকরি আইনে বড় পরিবর্তন: বিক্ষোভ-অনুপস্থিতিতে তদন্ত ছাড়াই ৮ দিনের মধ্যে চাকরিচ্যুতির বিধান ◈ ৫ মে থেকে বাজারে আসছে সাতক্ষীরার সুস্বাদু আম, রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৭০ মেট্রিক টন ◈ মে‌সি ও সুয়া‌রে‌সেও কাজ হ‌লো না, সেমিফাইনালে হেরে গে‌লো ইন্টার মায়ামি ◈ নিবন্ধনের আবেদন ৬৫ দলের, কার্যকর কমিটি নেই কারও, কারও নেই কার্যালয় বা সাইনবোর্ড ◈ পহেলগাঁও সন্ত্রাস নিয়ে কারাগার থে‌কে ভারতকে ইমরান খা‌নের হুম‌কি

প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:৫৬ রাত
আপডেট : ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রশাসনে আওয়ামী প্রেতাত্মাদের রাখা প্রতারণার শামিল: হাসনাত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশজুড়ে সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এর পেছনে যাদের হাত রয়েছে, তাদের প্রত্যেকের শাস্তি দাবি করেছেন এই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। পাশাপাশি আওয়ামী মনোভাবাপন্ন যারা এখনও প্রশাসনে রয়েছেন, তাদের ষড়যন্ত্রকারী বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ড. ইউনূস। হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা ছিলেন, ইউনূস সরকারের উচিত তাদের প্রত্যেকের শাস্তি নিশ্চিত করা, মনে করেন হাসনাত। অনেকে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন, তাদেরও দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান তার।

বুধবার (৯ অক্টোবর) ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে হাসনাত বলেন, ‘বিপ্লবী সরকার হিসেবে বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ছিল গণহত্যায় জড়িত সকলকে বিচারের আওতায় আনা। কিন্তু পুলিশ এবং প্রশাসনে আওয়ামী সহযোগীদের বহাল রাখা বা তাদের নিরাপদে দেশত্যাগ করতে দেয়া সরকারের ব্যর্থতার পরিচায়ক। সাবেক ডিবি প্রধান হারুন এবং পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুলের নিরাপদে দেশত্যাগ বর্তমান সরকারের প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এখনও আওয়ামী প্রেতাত্মাদের উপস্থিতির প্রমাণ। তারা বিপ্লবের চেতনা এবং বিপ্লবকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’

প্রশাসনে আওয়ামী লীগের লোকজনকে বহাল রাখা জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, ‘আওয়ামী প্রেতাত্মাদের প্রশাসনে বহাল রাখা জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। প্রকৃতপক্ষে, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থ ভুলে গিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে, যা বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তাদের আহ্বান জানাই, আপনারা বিপ্লবের চেতনা ধারণ করুন এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সেবা প্রদান করুন। ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থের জন্য দেশের ভবিষ্যৎকে বিপদে ফেলবেন না।’

হাসনাত যোগ করেন, ‘বিপ্লবী সরকারের প্রতিও আমাদের আহ্বান, বিগত ১৫ বছরে এবং জুলাই বিপ্লবে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে যারা সহযোগী ছিল, তাদের যেন বিচারের আওতায় আনা হয়। যারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আবু সাঈদ, ওয়াসিম এবং মুগ্ধের আত্মা তখনই শান্তি পাবে, যখন অপরাধীরা পূর্ণমাত্রায় শাস্তি পাবে এবং সরকার বিপ্লবের চেতনা নিয়ে কাজ করবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়