শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৫ মে, ২০২৪, ০১:২১ রাত
আপডেট : ০৫ মে, ২০২৪, ০১:২১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অসাম্প্রদায়িক ভারত কোনপথে?

রবিউল আলম

রবিউল আলম: কথা হচ্ছিলো হিন্দু মুসলমান নিয়ে। ভারতের বারো জাতির খবর কেউ রাখে না। রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন হয় না বলে। ভোটের জন্য ধর্ম একটা বড় ইস্যু হতে পারে। হানাহানি, মতবাদ হিংসা বিদ্বেষ ছড়াতে না পারলে ভোটারদের ভুলপথে নেওয়া যাবে না। দেশ বিভাগে ধর্মের ব্যবহারে হিন্দুস্তান পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিলো। ভাষার জন্য মানবতার মানবিকতার জন্য ধর্মের দোহাই দিয়ে বাঙালি জাতিকে আবদ্ধ করতে পারেনি পাকিস্তানের স্বৈরশাসকরা, বাংলাদেশ নামে একটা রাষ্ট্রের জন্ম হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারিশমায় ধর্মের বিভাজন ছুঁতে পারেনি, বাঙালি জাতির পরিচয় বহন করছে। 

মহাত্মার প্রেম ধর্মের লেবাস পরাতে পারেনি ভারতীদের মনে। ঐক্যবদ্ধ ভারত বিশ্বের উদাহরণ  হয়েছিলো। আজও ভারতীদের কাছে ভারতবিরোধী কোনো মন্তব্য করা যায় না, হিন্দু মুসলিম পরের কথা। সেই মানবিক ভারত আজ ধর্মের ননামে বিভাজন, ভোটের জন্য। এই বিভাজনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতীয় রাজনৈতিক দলগুলো। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য মহাত্মা গান্ধী, শেখ মুজিবুররহমান, জর্জ ওয়াশিংটন, স্টালিন, মাওসেতুংরা নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছেন স্বাধীনতার জন্য, একটি মানচিত্রের জন্য। রাজনীতিকে পুঁজি করে, মহান নেতার মহানুভবতার সুযোগ নিয়ে এখন রাজনীতি হচ্ছে ধর্মের বিভাজনে। শিবসেনা, আরএসএস, বিজেপি হিন্দু বানায়। এআইইউডিএফ এর বদরুদ্দীন আজমল, আইএসএফ আব্বাসউদ্দীন সিদ্দিকী, মজলিসে ইত্তেহাদুলের  আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, যোগী, সর্নাল মোদীদের জন্য ভারত হিন্দু মুসলিমের রূপ ধারন করেছে। বিনষ্ট হয়চ্ছে  ভারতীয় ঐক্য। 

এই ঐক্য বিনষ্টকারীদের আপনি মুসলমান ঠাকুর বলবেন, নাকি হিন্দু আলেম বলবেন?বিজেপি হটানোর শ্লোগান আছে, বাঁচানোর জন্য গোপন আঁতাত। সারা ভারতের ইতিহাস লেখে শেষ করা যাবে না, কাশ্মীর ও আসমের উদাহরণ থেকে বুঝে নিতে হবে ভারতীয় মুসলমানদের অধিকার আদায়ের নমুনা। মনের কথার সাথে ভোটের কথার মিল খুঁজে পাবেন না। কাশ্মীর ও আসাম ভারতের সর্ববৃহৎ মুসলিমদের অবস্থান। করিমগঞ্জ নওগাঁ ধুবড়ি শীলচর ৬২ শতক মুসলিম ভোটার, কংগ্রেসকে পরাজিত করার জন্য মাওলানা বদরুদ্দীন আজমল নির্বাচনের কিছুদিন মুসলমান হয়ে পরেন, বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য।

প্রতিটি নির্বাচনি কেন্দ্র থেকে ১০/২০ শতক ভোট কেটে করিমগঞ্জের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় বিজেপিকে পাস করার সুযোগ করে দেয়। বিনিময় মধ্যেপ্রাচ্যে আগর রপ্তানি করে অবৈধ টাকা কুমির হয়েছেন আজমল। নির্বাচন শেষ, কংগ্রেসকে হারানো শেষ, আজমলদের রাজনীতি শেষ। কে মুসলমান, কে হিন্দু আজমল যোগীদের খবর কে রাখে, মসজিদ ভাঙলো না মন্দির! এতকিছু দেখার সময় নাই। ভারতীরা ঘরে ঘরে  হিন্দু মুসলমানকে ধর্মের নামে আবদ্ধ করছেন, মানবিক মানুষ হতে দিচ্ছে না। হিন্দু মুসলিমের রাজনীতি পরিত্যাগ করে পারলে বিশ্ব পেতো এক মহান দেশ, মহাত্মার আত্নার পেতো শান্তির বার্তা।  বিশ্ব অর্থনীতির জন্য এক সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণতি হতো।

বাংলাদেশ, ভারতীয় সংস্কৃতির ধর্মের রাজনীতি থেকে কিছুটা হলেও মুক্ত হতে পারতো। প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় ভারতকে নিয়ে ভাবতে হয়। ভারতের যন্ত্রণা কিছুটা হইলেও সইতে হয়। ভারতের মসজিদের হামলা থেকে বাংলাদেশের মন্দিরে হামলা হয়। মাঝে মাঝে হিন্দু মুসলমান হয়, শেখ হাসিনা একার পক্ষে কত সয় ? মমতার মমতা, যোগীর ক্ষমতা, ওয়াইসি, আব্বাসের মুসলমান বানোর কারখানা কি মহাত্মার ভারতকে রক্ষা করতে পারবে? নাকি মানবতার শেষ পেরেকটা মোদি যোগী, আজমলদের হাতেই ঠুকবেন?  জবাবের জন্য  ৪ জুন অপেক্ষা করতে হবে। লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়