শিরোনাম
◈ সারাদেশে ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা ◈ স্কুলের টয়লেটে আটকা শিশু, ৬ ঘণ্টা পর বের হতে সক্ষম  ◈ পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি কিছুটা কমেছে, জনবল বাড়ানোর তাগিদ  ◈ কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দূতাবাসের ◈ কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশিরা  ◈ সংসদ ভবন এলাকায় দুই প‌ক্ষে‌র সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত ◈ আবারও বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা ◈ ভেবেছিলাম দেশের সমস্যা ক্ষণস্থায়ী, এখন আরও বেড়েছে: এডিটরস গিল্ড ◈ দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি’র মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্র স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১২:৫৭ রাত
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১২:৫৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করবেন না

ইমতিয়াজ মাহমুদ

ইমতিয়াজ মাহমুদ: রঙ খেলা বা হোলি খেলাÑ এটা যদি আপনার পছন্দ না হয়, আপনি খেলবেন না। আপনার যদি মনে হয় যে আপনার ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে এটা মিলে না, আপনি এই উৎসব করবেন না। আপনার ইচ্ছা। কেউ যদি রঙের উৎসবে যোগ দিতে চায়, তাকে আপনি বাধা দিবেন কোন উছিলায়? আপনাকে এই অধিকার কে দিয়েছে? এমনকি আমাদের রাষ্ট্রের সরকারেরও এই ক্ষমতা নাই এরকম উৎসবে বাধা দেওয়ার। অথবা আপনার যদি মনে হয় যে এরকম রঙ উৎসব করা আপনার ধর্মে নিষিদ্ধ এবং সেই নিষেধাজ্ঞা আপনি মেনে চলতে চান অতি উত্তম। আপনি সেরকম কোনো উৎসবে যাবেন না। 

কিন্তু অন্য কেউ যদি যেতে চায় সে যাবে। ধর্মীয় বিধিনিষেধ মানা না মানা সেটাও তো ব্যক্তির একান্ত নিজের ইচ্ছার ব্যাপার। আপনি তো কাউকে বাধ্য করতে পারেন না কোনো বিশেষ বিধান মানার জন্য। কোনো বিশেষ বিধান মানা তো ছোট ব্যাপার, এমনকি কেউ যদি আপনার ধর্মত্যাগ করে তাকেও তো আপনি বাধা দিতে পারেন না। পারেন? 

আর থাকে খাওয়াদাওয়া। সেও তো ব্যক্তির নিজের পছন্দের ব্যাপার। আপনার গরুর মাংস পছন্দ, খান। যত ইচ্ছা খান। কারো পছন্দ না হলে খাবে না। ইসলাম ধর্মে অনুমোদিত বা হারাম ঘোষণা করা হয়নি এরকম অনেক খাবার আছে যেগুলি অনেক মানুষ খেতে চায় না। যেমন ধরেন কচ্ছপ। কচ্ছপ তো হালাল। ইন্দোনেশিয়াতে মুসলমানরাও কচ্ছপ খায়, বাংলাদেশে মুসলমানরা সাধারণত কচ্ছপ খায় না। যেমন ধরেন পঙ্গপাল, হালাল। আমাদের এখানে মানুষ পঙ্গপাল খায় না, কিন্তু অন্যান্য মুসলিম দেশে মানুষ পঙ্গপাল খায়।

মূল বিষয়টা হচ্ছে যে, জোর করা যাবে না। কেউ যদি ভাবে যে আমি সকল উৎসবে অংশ নিতে চাই, সে অংশ নেবে। আপনার যদি মনে হয় যে না, ক্রিসমাসে টার্কি বা টার্কির বদলে মুরগি খাওয়া এগুলো ঠিক না, তো আপনি খাবেন না। আপনার বিশ্বাস, আপনার পছন্দ বা আপনার রুচি অপরের উপর জোর করে চাপাবেন কেন? মানুষকে তার নিজের পছন্দের জীবনটা যাপন করতে দিন আর আপনিও আপনার জীবন আপনার পছন্দ অনুযায়ী যাপন করুন। 

জোরাজোরি করাটা মন্দ। প্রতিষ্ঠানগুলি ধর্মনিরপেক্ষ রাখুন। সরকারকে ধর্মনিরপেক্ষ রাখুন। রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে সকল সামাজিক রাজনৈতিক ও সামষ্টিক কর্মকাণ্ড থেকে ধর্মীয় পরিচয় ধর্মীয় বিধি বিধান দূরে রাখুন। মানুষকে ধর্ম দিয়ে চিহ্নিত করবেন না, ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত করবেন না, ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করবেন না। মনে রাখবেন, ধর্ম বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোনোটাই আপনার বা সমাজের কারো পরিচয়েরই কোনো গুরুত্বপূর্ণ অংশ নয়। সমাজের নিয়ামক নিয়মাবলী আবর্তিত হয় শ্রেণির ভিত্তিতে, অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে। ধর্মের ভিত্তিতে নয়। লেখক: আইনজীবী। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়