সুব্রত বিশ্বাস: উভয় দেশই গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। বাংলাদেশ প্রধানত ভারতে গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, সামুদ্রিক খাবার এবং কৃষি পণ্য রপ্তানি করে, যেখানে ভারত বাংলাদেশে যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক, লোহা এবং ইস্পাত রপ্তানি করে। যাইহোক, বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের বিষয় কারণ এটি বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি চালাচ্ছে। এই বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার কারণগুলির মধ্যে রয়েছে, ট্যারিফ এবং নন-ট্যারিফ বাধা। নির্দিষ্ট কিছু বাংলাদেশী পণ্যের উপর ভারতীয় শুল্ক এবং অশুল্ক বাধা বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা- দুই দেশের মধ্যে সীমিত অবকাঠামো এবং সংযোগ ভারতে বাংলাদেশী রপ্তানির জন্য পরিবহন খরচ বাড়াতে পারে। প্রতিযোগিতামূলক চাপ- ভারতের বৃহৎ উৎপাদন ভিত্তি এবং স্কেল অর্থনীতি তার পণ্যগুলিকে বাংলাদেশের বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে পারে, যার ফলে রপ্তানির তুলনায় আমদানির পরিমাণ বেশি হয়। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি- ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি বাণিজ্য ও বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার শর্তাবলীকে প্রভাবিত করতে পারে। এই ভারসাম্যহীনতা দূর করার প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা,অবকাঠামো উন্নত করা, বাণিজ্য বাধা হ্রাস করা এবং বাংলাদেশের রপ্তানি ভিত্তিকে বৈচিত্রময় করার জন্য বিনিয়োগের প্রচার। উপরন্তু, উভয় দেশ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে জ্বালানি, কৃষি এবং প্রযুক্তির মতো খাতে সহযোগিতার সুযোগ অন্বেষণ করছে।
লেখক: ব্যসায়ী