শিরোনাম
◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল ◈ প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর, ২০২৩, ০২:০৬ দুপুর
আপডেট : ৩০ নভেম্বর, ২০২৩, ০৭:১৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে বাগেরহাটের খান আকরামসহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

আদালত প্রতিবেদক: [২] মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাগেরহাটের খান আকরামসহ সাত জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

[৩] বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলামসহ তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

[৪] এর আগে, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাগেরহাটের খান আকরামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

[৫] এ মামলায় সাত আসামির মধ্যে খান আকরাম হোসেন (৬০), শেখ মোহম্মদ উকিল উদ্দিন (৬২) ও মো. মকবুল মোল্লা (৭৯) কারাবন্দি।

[৬] আর পলাতক রয়েছেন, খান আশরাফ আলী (৬৫), রুস্তম আলী মোল্লা (৭০), শেখ ইদ্রিস আলী (৬১) ও শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল (৬৪)। 

[৭] আসামিদের বিরুদ্ধে যে সাত অভিযোগ

অভিযোগ-১: ১৯৭১ সালের ২৬ মে ১৫/২০ জন রাজাকার ও ২৫/৩০ জন পাকিস্তানি সেনাসহ বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের চাপড়ী ও তেলিগাতীতে নিরীহ মানুষদের ওপর হামলা চালায়। দুইজন নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করে ও ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করে।

অভিযোগ-২: ১৯৭১ সালের ৭ জুলাই আসামিরা বাগেরহাটের কচুয়া থানাধীন হাজরাখালী ও বৈখালী রামনগরে হামলা চালায়। তারা নিরীহ চারজন ব্যক্তিকে আবাদের খালের ব্রিজে হত্যা করে।

অভিযোগ-৩: ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ থানাধীন ঢুলিগাতী গ্রামে আসামিরা হামলা চালিয়ে দুইজন নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাকে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করে।

অভিযোগ-৪: ১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর বাগেরহাটের কচুয়া থানাধীন বিলকুল ও বিছট গ্রামে চারজন নিরীহ বাঙালিকে আটকের পর কাঠালতলা ব্রিজে এনে নির্যাতন করে। এরপর তাদের গুলি করে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়।

অভিযোগ-৫: ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর বাগেরহাটের কচুয়া থানাধীন বিলকুল গ্রাম থেকে নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আলী নকীবকে আটক করে। এরপর তাকে দৈবজ্ঞহাটির গরুর হাঁটির ব্রিজের ওপরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করে।

অভিযোগ-৬: ১৯৭১ সালের ১৬ অক্টোবর বাগেরহাটের কচুয়া থানাধীন উদানখালী গ্রামে নিরীহ নিরস্ত্র উকিল উদ্দিন মাঝিকে আটক করে হত্যা করে। এছাড়া, তার মেয়ে তাসলিমাকে কচুয়া রাজাকার ক্যাম্পে ধরে নিয়ে নিয়ে আসে। কচুয়া রাজাকার ক্যাম্প ও আশপাশের রাজাকার ক্যাম্পে দীর্ঘদিন তাসলিমাসহ চারজনকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ স্বাধীন হলে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার ক্যাম্প তল্লাশি করে ভুক্তভোগী তাসলিমাকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেন।

অভিযোগ-৭: বাগেরহাটের কচুয়া থানাধীন গজালিয়া বাজারে হামলা চালিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরীহ নিরস্ত্র শ্রীধাম কর্মকার ও তার স্ত্রী কমলা রানী কর্মকারকে আটক করে নির্যাতন করতে থাকে। আসামিরা শ্রীধাম কর্মকারকে হত্যা করে কমলা রানী কর্মকারকে জোরপূর্বক অপহরণ করে কচুয়া রাজাকার ক্যাম্পে এনে আটকে রাখে। উল্লিখিত আসামিসহ কচুয়া রাজাকার ক্যাম্প ও আশপাশের রাজাকার ক্যাম্পে কমলা রানী কর্মকারসহ আটক অন্য চারজনকে দীর্ঘদিন ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সম্পাদনা: ইকবাল খান

জেএ/আইকে/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়