শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধের ডাক হাসনাতের (ভিডিও) ◈ নারায়ণগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কারাগারে আইভী ◈ ‘মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্যের’ জবাব দিলেন আসিফ নজরুল ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার রিপোর্ট দাখিল সোমবার ◈ জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায় : ডা. জাহিদ ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি ◈ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল ◈ যমুনার সামনে বিক্ষোভকারীদের জুমার নামাজ আদায়, নিরাপত্তা জোরদার, বাড়তি সতর্কতা ◈ নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি ◈ পাকিস্তান যদি পাল্টা আঘাত হানে, তখন তা ঘোষণার কোনও দরকার হবে না: জেনারেল আহমেদ শরিফ

প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ০৮:০৩ রাত
আপডেট : ৩০ নভেম্বর, ২০২৩, ১২:৩৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের চিঠি

মার্কিন শ্রম অধিকার নীতির বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে

মাজহারুল মিচেল: [২] ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (বাণিজ্য) মো. সেলিম রেজা সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষকে পাঠানো চিঠিতে এই উদ্বেগের কথা জানান। সেই সঙ্গে এই বিষয়টিকে সংশ্লিষ্টদের অগ্রাধিকারের সাথে বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলেও জানান তিনি।

[৩] বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো এই চিঠির একটি কপি আমাদের নতুন সময়ের প্রতিবেদক পেয়েছে। সেখানে দেখা যায় চিঠিটি গত ২২ নভেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে।

[৪] শ্রম অধিকার সংক্রান্ত যে স্মারকলিপি যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি প্রকাশ করেছে, তাতে বাংলাদেশকে টার্গেট করা হতে পারে উল্লেখ করে বলা হয়, এ নীতি আরেকটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।

[৫] যদিও 'মেমোরেন্ডাম'টি বিশ্বের সব দেশের জন্য প্রযোজ্য একটি বৈশ্বিক নীতি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তবুও বাংলাদেশ যে তাদের করা টার্গেটগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে- এটি মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, বলা হয় চিঠিতে।

[৬] চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, মেমোরেন্ডামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শ্রম বিষয়ক ইস্যুগুলো বিশেষভাবে উদ্ধৃত করেছেন সেক্রেটারি অফ স্টেট এবং অ্যাক্টিং সেক্রেটারি অফ লেবার।

[৭] চিঠিতে বলা হয়, 'মেমোরেন্ডাম' অনুসারে, মার্কিন ফরেইন মিশন সরাসরি শ্রম বিষয়ক ইস্যু নিয়ে কাজ করবে। এ নীতিটি আগ্রহী মার্কিন কূটনীতিক বা মিশন অনেক অভ্যন্তরীণ/বাহ্যিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে উৎসাহিত করতে পারে।

[৮] আরও বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে, এ নীতি কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রয়োগ করার সুযোগ আছে, যদি তারা মনে করে সেখানে শ্রম অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।

[৯] চিঠিতে বলা হয়, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মেমোরেন্ডাম নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। মেমোরেন্ডামে শ্রম অধিকার সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তার পিছনে রাজনীতি রয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তা বিভিন্ন উপায়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যবহারের চেষ্টা করবে।

[১০] মেমোরেন্ডামটিকে বাংলাদেশের জন্য একটি সংকেত বলে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, শ্রম ইস্যুর অজুহাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ নীতির অধীনে যেকোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে।

[১১] মেমোরেন্ডাম বাংলাদেশের পোশাক খাতেও প্রভাব ফেলতে পারে, বলা হয়েছে চিঠিতে। সম্পাদনা: ইকবাল খান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়