সাগর আকন, বরগুনাঃ [২] বরগুনার আলোচিত কিশোর সুজন হৃদয়কে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ১২ কিশোরকে সবোর্চ্চ ১০ বছর ও ৪ কিশোরকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুচর ১২টা ১০ মিনিটে এই রায় দেন শিশু আদালতের বিচারক মশিউর রহমান খান। এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষ। তবে আসামি পক্ষ ন্যায় বিচার পায়নি বলে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন তারা।
[৩] ২০২০ সালে ২৫ মে ঈদের দিন বিকেলে বরগুনা সদরের গোলবুনিয়া এলাকায় নদীর তীরে বেড়াতে গেলে পূর্ব শত্রুতার জেরে নোমান কাজী, ইউনুস কাজীসহ ২৮ জন মিলে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে কিশোর সুজন হৃদয়কে। ওই দিনই পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
[৪] ঘটনার পরের দিন ২০ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন সুজন হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম। ছয় মাস তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ নভেম্বর আদালতে কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তি তর্ক উপস্থাপন শেষে কিশোর অভিযুক্তদের আজ রায় ঘোষণা করেন।
[৫] রায়ে ইউনুস কাজী, রানা আকন, ইমন হাওলাদার, জুয়েল কাজী, নয়ন হাওলাদার, সজীব, নাজমুল শিকদার, অন্তর, সিফাত ইসলাম, মোশারেফ, সাইফুল, রাব্বিকে ১০ বছর। সাগর গাজী, সজীব কাজী, ফাইজুল ইসলাম ও সাইদুলকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড। মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সফিকুল ইসলাম ঘরামী, নাইম, রবিউলকে।
[৬] নিহত হৃদয়ের মা ও মামলার বাদী ফিরোজা বেগম বলেন, আমার একমাত্র ছেলেকে ইদের দিন ঘুরতে গেলে আাসামীরা পিটিয়ে হত্যা করে৷ আমি এ রায়ে খুশি। সবাই আমার মরহুম ছেলের জন্য দোয়া করবেন৷ আল্লাহ যেত ওকে জান্নাতে রাখে।
[৭] রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী অপরাধীদের সবোর্চ্চ সাজা প্রদান করেছে বিজ্ঞ আদালত। রায়ে আমরাসহ সাধারন মানুষ খুশি।
[৮] এদিকে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামি পক্ষের আইনজীবী ও স্বজনরা বলেন উচ্চ আদালতে যাবেন তারা। এবং এই মামলায় এখনো প্রাপ্তবয়স্ক নয় আসামির চার্জগঠন হয়নি। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস