সালেহ্ বিপ্লব: [২] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নির্বাচন চায় না। পলাতক আসামি, অর্থ চোর, অস্ত্র চোরাচালানকারী, খুনি ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী যদি একটি দলের নেতা হয়- তবে মানুষ কেন সেই দলকে এবং তাকে ভোট দেবে? সূত্র: বাসস
[৩] শুক্রবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের হোটেলে নিউইয়র্ক মেট্রোপলিটন আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ।
[৪] আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়? তাদের নেতা কে? তারা ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায়নি এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি।
[৫] নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এখনো সেই পোড়া মানুষের মুখ দেখলেই বোঝা যাবে যে কী জঘন্য কাজ হয়েছে। যারা এটি করেছে, তাদের মতো আর কেউ ঘৃণ্য হতে পারে না।
[৬] তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অন্তত অনুধাবন করা উচিত যে, তারা নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে। নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ায় আজ জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
[৭] প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বিদেশে থাকেন তাদের বুঝতে হবে, বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বিদেশে কারও সঙ্গে কথা বলা যেত না, এখন মানুষ বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে। অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন সবসময় উজ্জ্বল হয়- তা আপনাদের সকলকে সর্বদা মনে রাখতে হবে।
[৮] শেখ হাসিনা বলেন, আজ যখন বিশ্বনেতারা বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতি দিচ্ছেন, তখন আমাদের কিছু পাপাচারী যা বলছে তাতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার নেই। বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্তরা এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।
[৯] নিন্দুকদের মুখোশ উন্মোচন করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মিথ্যা অপপ্রচার করলে তাদের মুখোশ উন্মোচিত করতে হবে। মানুষের সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার। এই চোরচক্র থেকে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এসবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :