মুসবা তিন্নি: [২] সূত্র জানিয়েছে, প্রতিদিন পয়োবর্জ্য পরিশোধন করে ৪৮ কোটি লিটার স্বচ্ছ পানি ফেলা হচ্ছে বালু নদে। যে কারণে বালু নদের দূষণের মাত্রা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। আবার পয়োবর্জ্য পরিশোধনের সময় প্রতিদিন ৪৫ থেকে ৫০ টন ফ্লাই অ্যাশ (শুষ্ক বর্জ্য) তৈরি হচ্ছে। এগুলো কাঁচামাল হিসেবে সিমেন্ট কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। সূত্র : ঢাকা পোস্ট
[৩] ঢাকা ওয়াসার দাশেরকান্দি অত্যাধুনিক পরিবেশবান্ধব পয়ঃশোধনাগার দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে তিন হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। কিছুদিন আগে এ পয়ঃশোধনাগারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
[৪] জানা গেছে, দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পটির জন্য ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে, ঋণ কার্যকর হয় ২০১৭ সালের ৮ মে। প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালের ১ জুলাই শুরু হয়।
[৫] দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার রমনা থানার অন্তর্গত মগবাজার, ওয়্যারলেস রোড, ইস্কাটন, নয়াটোলা, মৌচাক, আউটার সার্কুলার রোড, মহানগর হাউজিং এলাকা, কলাবাগান, ধানমন্ডি (পূর্বাংশ), তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, তেজগাঁও এলাকা, নাখালপাড়া, গুলশান, বনানী, বাড্ডা, আফতাবনগর, নিকেতন, সাঁতারকুল ও হাতিরঝিল এলাকার সৃষ্ট পয়োবর্জ্য পরিশোধন করা হচ্ছে।
[৬] জানা গেছে, দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগারে বিশাল আয়তনের ১২টি গোলাকার ট্যাংক রয়েছে। সেখান থেকে বিভিন্ন স্তরে পরিচ্ছন্ন করা হয় পয়োবর্জ্য। এরপর সেখান থেকে বের হওয়া অবশিষ্টাংশ (কাদাযুক্ত ময়লা বা স্লাজ) পুড়িয়ে শুকানোর ইউনিট বা বার্নিং সিস্টেমে ফ্লাই অ্যাশ তৈরি হচ্ছে।
[৭] দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্রস্তত করা হলেও এখনও পুরোপুরি নেটওয়ার্ক লাইন তৈরি করা হয়নি। আপাতত হাতিরঝিলের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে মোট ১১টি স্পেশাল স্যুয়ারেজ ডাইভারশন স্ট্রাকচার (এসএসডিএস) দিয়ে পয়োবর্জ্য ও কিচেন ওয়াটার যাচ্ছে দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগারে। এসব কাঁচামাল দিয়ে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়ায় তৈরী হচ্ছে সিমেন্ট। সম্পাদনা: রাশিদ
এমটি/এইচএ