মাজহারুল মিচেল: [২] এতে আমাদের বাংলাদেশের আভ্যন্তরিণ রাজনীতি, দ্বিপাক্ষিক এবং দুদেশের মধ্যকার সম্পর্কেও কোন প্রভাব না পরার কথাও জানান তারা। তবে এটির একটি সিম্বলিক ভ্যালু আছে উল্লেখ করে বলেন, এদেশে ও যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়াতে শুধু প্রভাব পড়তে পারে।
[৩] আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটা তাদের পূর্ব ঘোষিত কার্যক্রম। তারা শুধু আজকে এটাকে একটি প্রসেসের মধ্যে নিয়ে এসেছে। এতটুকুই মাত্র।
[৪] বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহ্মেদ জানান, তারা যে সব দেশে এ নীতিটি দিয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে, সে সব দেশে কোন ফলাফলই পাওয়া যায়নি। সুতরাং এটি বাংলাদেশেও কোন ফলাফল দিবে না।
[৫] তিনি বলেন, যাদের কথা চিন্তা করে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হল, অর্থাৎ, যারা ক্ষমতায় নেই তাদেরকে ক্ষমতায় আনা, আর যারা ক্ষমতায় আছে তাদেরকে বেকায়দায় ফেলা। এটি সম্পূর্ণ তাদের ভুল পদক্ষেপ। ক্ষমতায় যারা থাকবেন তাদেরকে বাদ দিয়ে কাউকে ক্ষমতায় আনতে চাওয়াটা একটু বোকামি। কোন যৌক্তিকতা নেই।
[৬] ড. ইমতিয়াজ বলেন, যুকরাষ্ট্র এদেশের সঙ্গে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে নিরাপত্তা জোরদার হোক। কয়েকদিন আগে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্র এখন আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে চায়।
[৭] তিনি বলেন, তারা আসলে বুঝে গেছে যে বাংলাদেশ এখন আর আগের জায়গায় নেই। এখন অনেক উন্নত রাষ্ট্র রয়েছে এদেশের পাশে। সুতরাং তারা তাদের স্বার্থ সিদ্ধি করতে নানান সময় নানা ফন্দি ফিকির করে। এর আগেও অন্য সরকারের আমলেও তারা নানান চাপ দিয়েছে। তারা আমাদের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের সুসম্পর্ক তৈরি হোক সেটিও চায় না। তারা কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করে না।
[৮] জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের শিক্ষক মুস্তাকিম বিন মোতাহার জানান, এর পরেও যুক্তরাষ্ট্র আরও অনেক বিষয় আসতে পারে। তারা নির্বাচনের আগে অনেক ইস্যু তুলতে পারে।