শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধের ডাক হাসনাতের (ভিডিও) ◈ নারায়ণগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কারাগারে আইভী ◈ ‘মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্যের’ জবাব দিলেন আসিফ নজরুল ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার রিপোর্ট দাখিল সোমবার ◈ জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায় : ডা. জাহিদ ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি ◈ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল ◈ যমুনার সামনে বিক্ষোভকারীদের জুমার নামাজ আদায়, নিরাপত্তা জোরদার, বাড়তি সতর্কতা ◈ নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি ◈ পাকিস্তান যদি পাল্টা আঘাত হানে, তখন তা ঘোষণার কোনও দরকার হবে না: জেনারেল আহমেদ শরিফ

প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৪:৪০ সকাল
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০২:০৬ রাত

প্রতিবেদক : আরমান হোসেন

আমার ছেলেরটাও যদি বাতিল করে কিছু যায় আসে না

স্যাংশনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই,: প্রধানমন্ত্রী 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সালেহ্ বিপ্লব: [৩] তিনি আরো বলেন, দেশের বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে বাংলাদেশের জনগণও স্যাংশন দেবে। নিউ ইয়র্কে শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার পর বাংলাদেশ মিশনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন, মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং প্রবাসীদের ভোটাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন।

[৪] যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন কার্যকর করার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা বলেছে; কেউ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে তাকে স্যাংশন দেবে। এখানে আমার কথা থাকবে। এই বানচাল করার চেষ্টাটা যেনো দেশের বাইরে থেকেও না হয়। বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্যাংশন দিয়ে দেবে। 

[৫] তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আজকের ঘোষণায় অপজিশনসহই বলা হয়েছে। তো অপজিশন বলাতে অন্তত একটা ভালো যে, বিএনপি জামায়াত তো ২০১৩-১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচন ঠেকাতে জ্বালাও-পোড়াও করেছিলো। মানুষ হত্যা করেছিলো। এই যে নির্বাচন বানচাল করার যে অপচেষ্টা, এবার বোধহয় অতোদূর যেতে পারবে না। যাবে না। 

[৬] শেখ হাসিনা বলেন, তারা তো পুলিশের ওপর আঘাত করে। আঘাত করলে পুলিশ যখন প্রতিরোধ করে, তখন সেই ছবি তুলে বড় করে প্রচার করে। আমাদের মিডিয়ায় যারা এগুলো তোলে, তারা সবগুলোই ভালো করে দেখাক। যারা এই স্যাংশন দিয়েছে, তারা ওটাও দেখবে। এক তরফা দেখবে না। কারা শুরু করেছে, শুরুটা কারা করলো; সেটা আগে দেখতে হবে। আর যদি শুধু আওয়ামী লীগকে টার্গেট করে থাকে, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। তবে আমি কিন্তু কারো শক্তিতে বিশ্বাস করে ক্ষমতায় আসিনি। আমি ক্ষমতায় এসেছি জনগণের শক্তিতে। জনগণের ভোটে এবং আমি কাজ করছি জনগণের কল্যাণে। এখানেই আমাদের সার্থকতা। কাজেই কে স্যাংশন দিলো, কে দিলো না; আত্মীয়স্বজন থাকলেও কি করবে, আমার ছেলে তো এখানেই আছে। পড়াশোনা করেছে, ব্যবসা করেছে। বিয়ে করেছে। মেয়ে আছে। সম্পত্তি আছে। সবই তার আছে। যদি বাতিল করে করবে। তাতে কিছু যায় আসে না। আমাদের তো বাংলাদেশ আছেই। এতে ভয় পাওয়ার বা ঘাবড়ানোর কিছু নেই। 

[৭] তিনি বলেন, কিন্তু যারা এসব বলছে, তাদের দেশের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন আছে। এখনো সেই নির্বাচন কেউ মেনে নেয়নি। আমরা তো দেখতে পাচ্ছি, এরা তাদের অপজিশনের সঙ্গে কী আচরণ করছে। আমরা কি সেই পর্যন্ত কিছু করেছি? করিনি।  খালেদা জিয়া আমাকে বার বার হত্যার চেষ্টা করেছে। হত্যার হুমকি দিয়েছে। এমনকি গ্রেনেড হামলার পর সংসদে এ নিয়ে কথা বলতে দেয়নি। একটা নিন্দা প্রস্তাবও আনেনি। খুনিদের তাড়াতাড়ি দেশ থেকে পার করে দিয়েছে। সেই খালেদা জিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী। তিনি অসুস্থ বলে আমি আমার নির্বাহী ক্ষমতাবলে তার সাজা স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকতে দিচ্ছি। তার চিকিৎসা তিনি করতে পারছেন। অথচ ১৯৮১ সালে আমি যখন দেশে ফিরলাম, ওই খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমান আমাকে ৩২ নম্বরের বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি।   

[৮] তিনি বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া অন্য কোনো পন্থায় যদি কেউ ক্ষমতায় আসতে চায়, তাহলে তাদের কিন্তু সাজা পেতে হবে। এটা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। বাংলাদেশে আর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের সুযোগ নেই। এখন একটা গোলমাল সৃষ্টি করে কেউ যদি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, সে শাস্তির মুখোমুখি হবে। এই কথাটা কিন্তু ভুললে চলবে না। আমরা অনেক সংগ্রাম করে গণতান্ত্রিক ধারাটা এনেছি, ধারাটা অব্যাহত থাকতে হবে। 

[৯] প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের আমলে যতোগুলো নির্বাচন হয়েছে, স্বচ্ছ হয়েছে। জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আর আমরাও সরকারে এসেছি জনগণের ভোটে। কেউ আমাদেরকে হাতে তুলে দেয়নি।  কাজেই নির্বাচন স্বচ্ছ হোক, অবাধ হোক, সেটা আমরাই চাই।

[১০] আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রীর সন্তানরা আসছেন কি না, প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমি ও আমার ছোটো বোন রেহানা আমাদের ছেলে মেয়েদের একটা কথা আমরা সব সময় বলে এসেছি যে; তোমাদের জন্য আমরা কিছু রেখে যেতে পারবো না। শুধু শিক্ষাটা দিয়ে যেতে পারবো। সেই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে তোমরা দেশের জন্য কিছু করো। সায়মা এখন অটিজম নিয়ে কাজ করছে। সে সেই কাজেই আছে। আর আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, কম্পিউটার সাইন্সে ডিগ্রি নিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ তারই গড়ে দেওয়া। এখন সে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করছে। আর নেতৃত্বের কথা যদি বলেন, নেতৃত্বে কোথা থেকে আসবে, তা নির্ভর করে দেশের জনগণের ওপর। আর দলের ওপর। আমাদের ছেলেমেয়েদের তুলে এনে বসিয়ে দেবো, তারা এভাবে নেতা হোক, আমি তা চাই না। আমরাও রাজনীতি করেছি, স্কুল জীবন থেকেই যুক্ত ছিলাম। আমার বাবা তো কখনো ভাবেননি আমাদেরকে এনে আওয়ামী লীগে বসাবে বা একটা মেম্বার বানাবে। এটা কখনো করেননি। আর এটা করা লাগে না। নেতৃত্ব জনগণই ঠিক করবে। কাজেই সে আশা বা ওই ধরনের চিন্তা না করাই ভালো 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়