সাজিয়া আক্তার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর প্রথমে একটি আন্তর্জাতিক চিত্রশিল্পের সম্মেলন করি। সেখানের কয়েকটা চিত্রশিল্প আমাকে আকর্ষণ করে। আমি তখন নিজেও একটি কিনে নেই এবং সাথে কয়েকটা উপহারও পাই।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় যাদুঘরে শিল্পী শাহাবুদ্দিনের একক বিশেষ শিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পরিকল্পনা কমিশনে যেখানে বসে আমাদের বাংলাদেশে উন্নয়নের পরিকল্পনা করি, সেখানে সেই চিত্রটি আমি লাগিয়ে রেখেছি। আর আরেকটি আছে আমাদের গণভবনে। যেগুলো আমার সাথেই থাকে। যদি আমি গণভবনে না থাকি তাহলে সেগুলো খুলে নিয়ে যাবো। কিন্তু সেখানে রেখেছি কারণ সেখানে কতগুলো ছোট ছোট বাচ্চা আদল গায়ে রাস্তায় ধুলো-মাটি মেখে পরে আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সেখানে যারা কাজ করি তাদের বলি এই চিত্র আমি বদলাতে চাই বাংলাদেশ থেকে। আমরা অনেক ক্ষেত্রে সেই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি। তাই আমি বলবো, শিল্পীর তুলির আঁচরে অনেক শক্তি। এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও ইতিহাস- সবকিছুই মুছে যাওয়ার পর কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক ও লেখকরা তাদের রচনায় চেতনা ধরে রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। যেহেতু তারা সে সময় চেতনা ধরে রেখেছিলেন, তাই আমরা, রাজনীতিবিদরা, পরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং রাজনৈতিক উপায়ে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছি। অবশেষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশ গড়ার পদক্ষেপ নিয়েছি। এখন দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরতে শুরু করেছে, যা একটি বড় অর্জন। সম্পাদনা: রাশিদ