মাজহারুল মিচেল: দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বুধবার (৭ জুন) এক ব্রিফিংয়ে এ আগ্রহের কথা তুলে ধরেন। ওয়াশিংটনে নিয়মিত এ ব্রিফিংটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এক সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই সন্ত্রাসবিরোধী একটি শক্তিশালী সহযোগিতা গড়ে তুলেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবেলায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। এখন, গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স ২০২৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশ তার অবস্থানের ব্যাপক উন্নতি করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ভূমিকাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবে এবং বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমনে তার বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বাইডেন প্রশাসনের কি কোনো নতুন পরিকল্পনা আছে?
উত্তরে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা বেদান্ত প্যাটেল বলেন, গত বছর আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছি এবং চলতি ২০২৩ সালে আমরা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও গভীর ও উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই এবং এই ব্যাপারটিকে যুক্তরাষ্ট্র বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। এর আগেও এ ব্যাপারে আপনাদের কয়েকজন সহকর্মী সাংবাদিকদের সঙ্গে এই ইস্যুতে আমি আলোচনা করেছি।
জলবায়ুসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী। তবে বর্তমানে আমরা নিরাপত্তা সহযোগিতাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি, ব্রিফিংয়ে বলেন বেদান্ত প্যাটেল।
এই ঘোষণার পর থেকে নতুন করে ফের আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
এমএম/এসএইচবি/এসবি২