মাসুদ আলম: র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এতদিন পর সংক্ষুব্ধ হয়ে কেউ নিজেদের নির্দোষ দাবি করতেই পারেন। তবে বেশকিছু মামলা তদন্তাধীন এবং আদালতে বিচারাধীন আছে। আদালতই বলবেন কারা দোষী, কারা নির্দোষ। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং নিয়ম মেনে র্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
গত রোববার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক দুই কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ও তারেকুজ্জামান রাজীব তাদের অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছিল বলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, সাবেক দুই কাউন্সিলের যে অভিযোগ তা সংক্ষুব্ধ হয়ে যে কেউ করতে পারেন। তবে আমাদের যে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান তা দেশবাসী দেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। সেখানে একটি শ্রেণি দুর্নীতির মাধ্যমে মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করছে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই আমাদের অভিযান ছিল। শুধু উনাদের দুজনের বিরুদ্ধে অভিযান নয়, আমরা তখন আরও অভিযান করেছি, কিন্তু কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।
দুই কাউন্সিলরের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি মঈন বলেন, ২০১৯ সালে আমরা অভিযান চালিয়েছি। তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে এতদিন র্যাব সদরদপ্তর, বিজ্ঞ আদালত বা পুলিশ সদরদপ্তরে অভিযোগ জানাতে পারতেন। কিন্তু এতদিন পর তারা নিজেদের ‘নির্দোষ’ দাবি করছেন! এটা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি হিসেবে করতে পারেন। তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা তদন্তাধীন। আদালত বলতে পারবেন, কারা দোষী আর কারা নির্দোষ ছিলেন। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
এমএ/এসএইচবি/এসবি২