মাজহারুল মিচেল: বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি গতকাল বুধবার ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে একথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এমনকি সরকারের সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার ও অবস্থানকে কেউ যেন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি সহায়ক হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যত প্রক্রিয়া দরকার সবগুলোই অবলম্বন করবে। দেশের নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং এর ওপর এবং এর বাজেটের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাদের অবস্থানকে যাতে কেউ জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত না করতে পারে, তার জন্য মার্কিন সরকারের ভিসানীতি আমাদের সহায়ক হতে পারে।
তিনি জানান, বিরোধী দল আন্দোলনের নাম করে ৩ হাজার ৮শ গাড়ি ও ২৭ টা বগি জ¦ালিয়েছে। তারা গতকালও পুলিশকে পিটিয়েছে। সবসময় নানান ধরনের নাশকতা করতে চায়। এই রাজনৈতিক দলের (আওয়ামী লীগ) জন্ম গণমানুষ থেকে। আমরা জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাদের জান-মাল রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।
গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে ভিসা নীতির সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করে তিনি বলেন তাদের চিঠিটি ছিল অপূর্ব। সেখানে বর্তমান সরকারের প্রশংসা করা হয়েছে। তারা আমাদের সমর্থন দিয়েছে।
এ নীতির ফলে দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের কোন প্রভাব ফেলবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এর ফলে সম্পর্ক আরো ভাল হবে। তারা এ ৫২ বছরের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চায়।
চলতি বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে বা গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করবে, তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ জারি করবে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৮ মিনিটে এক টুইটবার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এ ঘোষণা দেন।
পরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়েও এ তথ্য নিশ্চিত করেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :