শিরোনাম
◈ তাপপ্রবাহ চলছে দেশজুড়ে, স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া অফিস ◈ রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন, গেজেট প্রকাশ ◈ বাংলাদেশের কাছে লিখিত প্রস্তাব চায় যুক্তরাষ্ট্র, তারপর আলোচনা শুরু ◈ আ. লীগের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে অনলাইনেও, পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি ◈ ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে কাজ করব: ট্রাম্প ◈ আবারও শাহবাগ অবরোধ করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহতরা ◈ গেজেট প্রকাশের পরই আ. লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি ◈ লড়াই রা‌তে, জিত‌লে বা‌র্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন ◈ পরিবারে মা হচ্ছেন এক বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান, খালেদা জিয়াকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা তারেক রহমানের ◈ পাকিস্তানের শক্ত জবাবেই যুদ্ধবিরতি করতে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হয় ভারতঃ সিএনএনের সাংবাদিক (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২৩, ০৯:৩৩ রাত
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২৩, ০৪:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধারের টাকায় চলছে নিম্ন আয়ের ৭৪ শতাংশ পরিবার

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং

শহীদুল ইসলাম: মূল্যস্ফীতির চাপে গত ছয় মাসে পরিবারের ব্যয় বাড়ায় দেশের ৭৪ শতাংশ নিম্ন আয়ের পরিবার ধার করে চলছে বলে জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং-(সানেম)। অর্থসংবাদ 

বুধবার (২৯মার্চ) ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের ৮ বিভাগের ১ হাজার ৬০০ পরিবারের ওপর করা এক জরিপের ফলাফল তুলে ধরে সানেম। জরিপের সময়কাল ছিল গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি এই ছয় মাস। জাগো নিউজ

সানেম বলেছে, তারা জরিপটি করেছে দেশের গ্রাম ও শহরের নিম্ন আয়ের পরিবার নিয়ে। জরিপে অংশ নেওয়া ৯০ শতাংশ পরিবার জানিয়েছে অর্থনৈতিক চাপে তাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতির জন্য বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, দেশে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও বাজার অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

সানেমের জরিপের তথ্য বলছে, মূল্যস্ফীতির চাপে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত ব্যয় বাড়তে থাকায় গত ছয় মাসে যে ৭৪ শতাংশ পরিবার ধার করে চলেছে, তাদের ধার করা বন্ধ হয়েছে বা বন্ধ হবে, এমন পরিস্থিতি এখনো আসেনি। বরং পরিস্থিতি যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে ৮৫ শতাংশ পরিবার মনে করে যে আগামী ৬ মাসে তাদের আরো ধার করতে হবে। 

জরিপ বলছে, ৩৫ শতাংশ পরিবার তাদের সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে, আর সঞ্চয় বিমুখ হয়েছে ৫৫ শতাংশ পরিবার। বিগত ৬ মাসে ধারের উৎস হিসেবে ৪৫ শতাংশ পরিবার বেছে নিয়েছে ক্ষুদ্র ঋণের প্রতিষ্ঠান। 

সানেম আরো বলছে, জমি বিক্রি করে চলতে হতে পারে ১৭ শতাংশ নিম্ন আয়ের পরিবারের। শিশুদের শ্রমে নিযুক্ত করতে হতে ১৯ শতাংশ পরিবার । সন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ করতে হতে পারে ২৪ খশতাংশ পরিবারের। মেয়েসন্তানকে দ্রুত বিয়ে দেওয়ার কথাও বলছেন অনেকে। ২৫ শতাংশ পরিবার মনে করে পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন তারা নিরুপায়।

জরিপকারীদের কাছে ১৮ শতাংশ পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন যে এই ৬ মাসে এমন কিছুদিন গেছে, যেদিন তাঁদের পুরো দিনও না খেয়ে থাকতে হয়েছে। খাবারের গুণগত মানেও ছাড় দিতে হচ্ছে এসব মানুষের। যার কারণে আগের থেকে কম দামি মাছ-মাংস খেতে হচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তার ভয় বেশি শহরের নিম্ন আয়ের পরিবারে।

বিশ্বব্যাংকের দেওয়া সংজ্ঞা ও পদ্ধতি অনুসরণ করে নিম্ন আয়ের মানুষের ধরন নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সানেমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। যে ১ হাজার ৬০০ পরিবার থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ৯০ ভাগ পরিবারের প্রধান ছিলেন পুরুষ। ১০ ভাগ পরিবারের দায়িত্বে ছিলেন নারী।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়