মহসীন কবির: আগামী তিন মাসের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের মামলাগুলোর তদন্ত শেষ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অন্যথায় দুদকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
এ সময় বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি ও অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ব্যাংকটির শান্তিনগর শাখার সাবেক ম্যানেজার মোহাম্মদ আলীকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট। একইসাথে আদালতের দেয়া জামিন সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, ২০১৫ সালে এই মামলাগুলো দাখিল করা হয়েছিলে। অথচ তদন্ত কাজ আজও শেষ করতে পারেনি দুদক। এই অবস্থায় দীর্ঘ সময়ের কারণে মামলার আলামত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাইকোর্ট আরও বলেন, তদন্ত সঠিক না হলে পৃথিবীর অনেক দেশে তদন্ত কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। তাই দুদককে সঠিকভাবে এই মামলার তদন্ত কাজ শেষ করতে হবে।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম আবুল হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এ ঘটনায় করা ৫৬টি মামলার মধ্যে ১২টি মামলার আসামি মোহাম্মদ আলী। এর মধ্যে তিন মামলায় তিনি জামিন চেয়েছেন। পরে জামিন শুনানিতে গত ৮ নভেম্বর হালনাগাদ তথ্য চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক।
দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন শাখা থেকে প্রায় দুই হাজার ৭৭ কোটি ৩০ লাখ ২৯৯১ টাকা যা সুদসহ দুই হাজার ৫৯০ কোটি ৪৯ লাখ ৯১ হাজার ৪৫৩ টাকা আত্মসাতের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রাথমিক অনুসন্ধান করে মোট ৫৬টি মামলা দায়ের করে।
এসব মামলায় ৮২ জন ঋণ গ্রহীতা ছাড়াও বেসিক ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ফকরুল ইসলাম, ডিএমডি ফজলুস সোবহান, সাবেক ডিএমডি শেখ মঞ্জুর মোরশেদ, জিএম এ. মোনায়েম খান, জিএম মোহাম্মদ আলী ওরফে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীসহ ২৭ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।
বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখা, প্রিন্সিপাল/প্রধান শাখা, দিলকুশা শাখা এবং শান্তিনগর শাখাসহ মোট চারটি শাখার ঋণ কেলেঙ্কারির বিষয়ে গুলশান থানায় ২৩, মতিঝিল থানায় ১২ ও পল্টন থানায় ২১টিসহ মোট ৫৬টি মামলা করা হয়। মামলায় ২৭ বেসিক ব্যাংক কর্মকর্তা, ৮২ ব্যবসায়ী ও ১১ বেসরকারি সার্ভেয়ারসহ মোট ১২০ জনকে আসামি করা হয়। এরমধ্যে মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যমুনা, সময় টিভি, বাংলানিউজ