বাংলাদেশের জাতীয় অগ্রযাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ঢাকায় আসছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি বোটচওয়ে। বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা ও সম্পৃক্ততা বাড়াতে তিনি ২০-২৪ নভেম্বর বাংলাদেশে তার প্রথম সরকারি সফর করবেন।
আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কমনওয়েলথ মহাসচিবের এ সফরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সফরকালে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। যার মধ্যে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও অন্যান্য প্রতিনিধি।
বৈঠকে শান্তি ও স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র ও সুশাসন এবং বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির জন্য কমনওয়েলথের সহযোগিতা কীভাবে আরও জোরদার করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া কমনওয়েলথ মহাসচিব সংস্থার নতুন কৌশলগত পরিকল্পনা তুলে ধরবেন, যার তিনটি মূল স্তম্ভের একটি গণতন্ত্র এবং জানবেন বাংলাদেশের জন্য কোন ধরনের সহায়তা সবচেয়ে কার্যকর হতে পারে।
সফরের আগে এক বিবৃতিতে মহাসচিব বোটচওয়ে বলেন, স্বাধীনতার পরপরই কমনওয়েলথে যোগ দেওয়া বাংলাদেশ সংগঠনটির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
তিনি জানান, বিস্তৃত পরিসরের অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সরাসরি বোঝার চেষ্টা করবেন এবং পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে সম্ভাব্য সহায়তার ক্ষেত্র নির্ধারণ করবেন। তার ভাষায়, ‘কমনওয়েলথ ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে, যা আগামী বছরের নির্বাচনের আগে আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমাদের অঙ্গীকার হলো বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পাশে থাকা, যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা সম্মানিত হবে।’
মহাসচিব বোটচওয়ে আরও বলেন, বাংলাদেশ যখন ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন তিনি দেশের জনগণের মঙ্গল কামনা করেন এবং গণতান্ত্রিক যাত্রায় কমনওয়েলথের পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
মহাসচিবের সফরটি গত মাসে বাংলাদেশে আসা কমনওয়েলথের প্রাক-নির্বাচনি মূল্যায়ন দলের মিশনের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা। দলটি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করে আসন্ন নির্বাচনের সামগ্রিক পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যালোচনা করেছিল। উৎস: জাগোনিউজ24