ঢাকার জনপ্রিয় গণপরিবহন মেট্রোরেলের স্থায়ী কার্ড (র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস) এখন থেকে ঘরে বসেই সহজে রিচার্জ করা যাবে। কার্ড রিচার্জের প্রক্রিয়া সহজ করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। ফলে যাত্রীদের আর স্টেশনে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হবে না। আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে এই অনলাইন রিচার্জ সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) ডিটিসিএর ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে র্যাপিড পাস অনলাইন রিচার্জ চালু হবে, যার মাধ্যমে ঘরে বসে সহজে, নিরাপদে এবং দ্রুত কার্ড রিচার্জ করা যাবে। রিচার্জের জন্য ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেটসহ সব ধরনের অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা রিচার্জ করা যাবে।
ডিটিসিএ জানিয়েছে, শুরুতে তাদের ওয়েবসাইটে থাকা লিংকের মাধ্যমে গ্রাহকরা কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন। তবে আগামী মাসের মধ্যে একটি ডেডিকেটেড অ্যাপ চালু করা হবে, যার মাধ্যমে আরও সহজে রিচার্জ করা সম্ভব হবে।
মেট্রোরেল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ডিএমটিসিএল-এর নিজস্ব কার্ডের নাম ‘এমআরটি পাস’ এবং ডিটিসিএ সরবরাহ করে ‘র্যাপিড পাস’। নতুন এই ব্যবস্থার অধীনে দুই ধরনের কার্ডই অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ইচ্ছামতো রিচার্জ করা যাবে। ডেটাসফট নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই অনলাইন রিচার্জ কার্যক্রমে ডিটিসিএকে সহায়তা করছে।
স্থায়ী কার্ডের লেনদেন নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্র নিকাশ ঘর (ক্লিয়ারিং হাউজ) ডিটিসিএর অধীন। ডিটিসিএ সূত্র জানায়, টাকা রিচার্জের কাজটি সফল হওয়ার পরও গ্রাহককে তার কার্ডে মূল্য সংযোজনের জন্য একবার স্টেশনে থাকা বিশেষ যন্ত্রে (অ্যাড ভ্যালু মেশিন বা এভিএম) কার্ডটি স্পর্শ করে হালনাগাদ করে নিতে হবে।
ঘরে বসে রিচার্জ করার ধাপগুলোর মধ্যে প্রথমে ডিটিসএর ওয়েবসাইট বা মুঠোফোন অ্যাপে নিবন্ধন করে লগইন করতে হবে, এরপর রিচার্জ অপশনে ক্লিক করে কার্ডের প্রকার নির্বাচন করে পেমেন্ট মাধ্যম নির্বাচন ও টাকা পরিশোধ করতে হবে। টাকা পরিশোধ সফল হলে স্টেশনে থাকা এভিএম যন্ত্রে কার্ডটি স্পর্শ করে রিচার্জ সম্পন্ন হবে।
ডিটিসিএ সূত্র আরও জানিয়েছে, গত সোমবার থেকে এভিএম যন্ত্র বসানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ২১ ও ২২ নভেম্বর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনে মোট ৩২টি এভিএম যন্ত্র বসানো হবে। ডিএমটিসিএল সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে মেট্রোরেলের ৫৫ শতাংশ যাত্রী র্যাপিড বা এমআরটি কার্ডে যাতায়াত করে থাকেন।