পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বিদায়ের মধ্য দিয়ে চলতি বছরের দীর্ঘ বর্ষা অধ্যায়ের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। এরই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলে শুরু হয়েছে আগাম শীতের আগমনবার্তা। পঞ্চগড় ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সকাল-সন্ধ্যায় এখনই দেখা মিলছে ঘন কুয়াশার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তিন মাসব্যাপী দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস বলছে, এবার শীত মৌসুমে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশের ওপর দিয়ে। একইসঙ্গে ডিসেম্বর নাগাদ দেশের অধিকাংশ অঞ্চল ঢেকে থাকবে ঘন কুয়াশায়।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, অক্টোবরের প্রথমার্ধেই দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমি বায়ু পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেবে। এ সময় দেশে ৩ থেকে ৬ দিন মাঝারি থেকে তীব্র বজ্রবৃষ্টি এবং ৪ থেকে ৮ দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
অক্টোবরে বঙ্গোপসাগরে ৩ থেকে ৬টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ১ থেকে ২টি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই মাসে সার্বিকভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেলেও অক্টোবর জুড়ে তা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে নভেম্বরের শেষ দিক থেকে আবহাওয়া ধীরে ধীরে শীতল হয়ে উঠবে।
বিশেষ করে ডিসেম্বর মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে ১ থেকে ২টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময় শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী–নালা ও নিম্নাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
ইতোমধ্যে দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়সহ রংপুর ও দিনাজপুরে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমে এসেছে। ভোরবেলা ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে সড়ক ও জনপদ। স্থানীয়দের অনেকে বলছেন, শরতের শেষ দিকেই এবার শীত যেন আগেভাগেই নেমে এসেছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, মৌসুমি বায়ুর বিলম্বিত প্রভাবের কারণে এই বছরের শীতকাল তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ হতে পারে। তারা নাগরিকদের সতর্ক থেকে শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সূত্র: ঢাকা টাইমস