প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা। এসময় তাদের মধ্যে বাংলাদেশে আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন, দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং এশিয়াজুড়ে তরুণদের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট।
বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন, দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, রাজস্ব ও ব্যাংক খাতের সংস্কার, চট্টগ্রাম বন্দর পুনরুজ্জীবন, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি এবং এশিয়াজুড়ে তরুণদের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
এসময় উভয়ে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার নিয়েও মতবিনিময় করেন।
অজয় বাঙ্গা গত ১৪ মাসে ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ড. ইউনূস এ সংকটময় সময়ে বিশ্বব্যাংকের অবিচল সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারে ও চট্টগ্রাম বন্দর আধুনিকায়ন ও সংস্কার কার্যক্রমে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ বন্দর লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি। চলুন একসঙ্গে উন্নয়ন করি।
নেপাল ও ভুটানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশ এবং ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য এ বন্দর উন্নয়নের মাধ্যমে বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারে বলেও বৈঠকে উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।
ব্যাংক ও রাজস্ব খাতের শক্তিশালী সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে অজয় বাঙ্গা বলেন, টেকসই ও উচ্চ প্রবৃদ্ধির অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এসব সংস্কার অপরিহার্য।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়-সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।