বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ে নারায়ণগঞ্জে শহীদ ২১ জনের নামে নির্মিত হলো প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’। সোমবার (১৪ জুলাই) বিকালে জেলার হাজীগঞ্জ এলাকায় স্মৃতিস্তম্ভটি উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের চার উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত চার উপদেষ্টা হলেন- আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, বিচার পূর্ণ গতিতে এগিয়ে চলছে। এতে কোনও রাজনীতি থাকবে না। যে গতিতে বিচার এগিয়ে চলেছে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সরকারের শাসনামলে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশকে অনুরোধ করেছি, ৫ আগস্টের আগে মামলাগুলোর চার্জশিট দেওয়ার জন্য। ওনারা বলেছেন, অনেকগুলো মামলার চার্জশিট দিতে পারবেন। এরপর বিচার শুরু হবে। আর আপনারা চাঁদাবাজ ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবেন- সেই প্রত্যাশা করি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদারসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা।
জানা গেছে, উদ্বোধন করা স্মৃতিস্তম্ভের ফলকে ২১ জন শহীদের নাম উল্লেখ করা হয়। তারা হলেন— রিয়া গোপ, মো. রোমান, আরমান মোল্লা, মো. ইরফান ভূঁইয়া, মো. তুহিন, মো. মোহসীন, মো. জনি, ইব্রাহিম, মো. স্বজন, মো. আদিল, পারভেজ হাওলাদার, মোহাম্মদ ফারহানুল ইসলাম ভূঁইয়া, ছলেমান, ইমরান হাসান, হযরত বিল্লাল, সফিকুল, মো. সজল, মো. মাবরুর হুসাইন, মোহাম্মদ মাহামুদুর রহমান খান, মোহাম্মদ সাইফুল হাসান, আহসান কবির।