শিরোনাম
◈ অবশেষে ৫ যুগ পর রাজধানী থেকে সরছে গোল্ডলিফ-বেনসনের কারখানা! ◈ ইসরায়েলে মাইক্রোসফট কার্যালয়ের কাছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত, ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী ◈ গ্লোবাল সুপার লিগ খেল‌তে  ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছে রংপুর রাইডার্স ◈ অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩: ইরা‌নের এক রা‌তের হামলায়  তেল আবিবে অন্তত ৫০ ইহুদিবাদী নিহত ◈ ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে দুই সপ্তাহ সময় নিলেন ট্রাম্প (ভিডিও) ◈ পর্যটনে সেরা ১০ মুসলিমবান্ধব অমুসলিম দেশ ◈ ৫ সচিবকে এবার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার ◈ রেললাইনে বসে গল্প করছিলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেলেন তিন বন্ধু ◈ ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি: হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের নিরাপত্তা বৈঠক, বড় ঘোষণা আসছে ◈ চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ২২ জুন

প্রকাশিত : ১৯ জুন, ২০২৫, ১২:১৬ রাত
আপডেট : ২০ জুন, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

পরিবেশের ক্ষতি করে কোনো উন্নয়ন নয়: প্রধান উপদেষ্টা

মনিরুল ইসলাম: উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পনার ক্ষেত্রে নদীর পানিপ্রবাহ যাতে নিরবচ্ছিন্ন থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সমন্বিত অর্থনৈতিক করিডোর উন্নয়ন’ প্রকল্প নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি এ নির্দেশ দেন তিনি। 

বৈঠকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জোং ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তাদের একটি দল এই প্রকল্পের বিস্তারিত রূপকল্প, কৌশল এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া। 

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দিতে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে আমাদের নদীপ্রবাহকে। বাংলাদেশ একটি ব-দ্বীপ। আমরা কোনোভাবেই আমাদের পানিপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে চাই না।’

‘আরেকটি বিষয় হলো, যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ওই এলাকার জনসংখ্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। আমাদের দেশ বন্যাপ্রবণ। তাই পানিপ্রবাহ বন্ধ করে এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলবে। বন্যার সময় আমাদের দেশের মানুষ উঁচু রাস্তা, সেতু এবং রেলপথে আশ্রয় নেয়। সুতরাং সেতু শুধু নির্মাণ করলে হবে না, এটি জনগণের জন্য আশ্রয় হচ্ছে নাকি বিপদ ডেকে আনছে সেটাও বিবেচনা করতে হবে,’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন।

‘এবং তৃতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক সংযোগ। আমরা এ অঞ্চলে একটি ইনভেস্টমেন্ট হাব তৈরি করতে চাই। সেজন্য প্রকল্প এমন হতে হবে যা নেপাল, ভুটানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকেও সংযুক্ত করবে,’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন।

বৈঠকে এ উন্নয়ন প্রকল্পে পানি বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করতে এবং একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির নির্দেশ দেন তিনি।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এর আগে হাওর এলাকায় বিশাল সড়ক নির্মাণ হয়েছে কিন্তু পরে দেখা গেল সেটি ওই অঞ্চলের পুরো ইকোসিস্টেমকে ধ্বংস ভেঙে দিয়েছে। মানুষ মারাত্মকভাবে বন্যার কবলে পড়েছে। সুতরাং যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করতেই হবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়