মনিরুল ইসলাম: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকারের কোনো দায়িত্বে থাকার কোন ইচ্ছে নেই। সব দলের অংশগ্রহণের একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, এছাড়া নারীদের অধিকার নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। বুধবার লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স-এ বক্তব্যকালে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সংস্কার কমিশন করার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য কমিশন তৈরি করেছি। আমরা তাদের সুপারিশের দিকে তাকিয়ে আছি। আমাদের কাজ হলো সব দলের ঐকমত্য তৈরি করা।
এক প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা জুলাই সনদ আসার জন্য অপেক্ষা করছি। জাতির সামনে জুলাই মাসের সনদ হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।
বক্তব্যের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা একটি ভুল সভ্যতার অংশ হয়ে গেছি, আমরা নিজেরাই একটি আত্মবিধ্বংসী সভ্যতা গড়ে তুলেছি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে আমাদের দরকার নতুন করে সভ্যতা গড়ে তোলা। এর জন্য দরকার কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা, বেকারত্ব দূর করা এবং ক্ষুধাযুক্ত পৃথিবী। এটার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা কোনো শিক্ষা বা জ্ঞানবৃত্তিক বিষয় নয়।
বুধবার (১১ জুন) সকাল ১১টায় চ্যাথাম হাউসের মূল কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয় এই সংলাপ। এতে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, গবেষক এবং গণমাধ্যমকর্মীরা। নীতি সংলাপে ড. ইউনূস বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন, রাজনৈতিক পরিবেশ এবং শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন।
চ্যাথাম হাউসের এশিয়া-প্যাসিফিক প্রোগ্রামের পরিচালক বেন ব্ল্যান্ড এবং দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. চিয়েটিজ বাজপাই সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ড. ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।