শিরোনাম
◈ বগুড়ায় সারজিসের উপস্থিতিতে এনসিপি-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দফায় দফায় সংঘর্ষ ◈ আনোয়ারায় বেড়েছে চুরি, ডাকাতিসহ নানান অপরাধ, উদ্বিগ্ন জনসাধারণ   ◈ দুই মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে  মাছ ধরতে নদীতে নামেছে জেলেরা ◈ ধামরাইয়ে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ ◈ বাজারে আস‌তে শুরু ক‌রে‌ছে কালীপুরের রসালো লিচু ◈ জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ ◈ বিল পরিশোধ, দীর্ঘদিন পর দায় মুক্ত পেট্রোবাংলা! ◈ নসরুল হামিদের ২০০ কোটি টাকা মূল্যের জমি জব্দের আদেশ ◈ ‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’- বক্তব্যটি হাসিনার: প্রমাণ পেয়েছে ট্রাইব্যুনাল ◈ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে হামলা গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:৫১ দুপুর
আপডেট : ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে কারণে ভারত থেকে প্রিন্ট হয়ে আসছে মেট্রোরেলের নতুন টিকিট

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিট সংকট দূর করতে চার লাখ নতুন টিকিট কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। জাপান, থাইল্যান্ড এবং ভারত যৌথভাবে এসব টিকিট সরবরাহ করে থাকে। টিকিটের মূল জোগানদাতা জাপান, তবে কার্ডগুলো প্রিন্ট হয় ভারত থেকে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে ২০,০০০ টিকিট ভারত থেকে প্রিন্ট হয়ে আসবে। বাকি টিকিটগুলো ধাপে ধাপে আসবে। একক যাত্রার টিকেট ফিরছে আগের নকশায়; তবে পাল্টে যাচ্ছে রং।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

ঢাকা ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেছেন, “১৬ ডিসেম্বর ২০,০০০ টিকিটের একটি চালান ভারত থেকে রওনা হবে। এগুলো পৌঁছাবে মাসের শেষ দিকে। কার্ডগুলো ট্রেনে আসছে। এজন্য কিছুটা সময় লাগছে। আশা করছি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে সেগুলো আমরা হাতে পাব। পর্যায়ক্রমে আমাদের হাতে সবগুলো কার্ড পৌঁছাবে।”

আবদুর রঊফ বলেন, জাপান, থাইল্যান্ড এবং ভারত যৌথভাবে এসব টিকেট সরবরাহ করছে। মূল জোগানদাতা জাপান, কার্ডগুলো প্রিন্ট হয় ভারতে।

মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, একক যাত্রার কার্ড পুরোনো ডিজাইনে ফিরে যাচ্ছে। তবে কার্ডের রং পরিবর্তন হয়েছে।

“কার্ডের ডিজাইন নিয়েও একটা আলোচনা ছিল। নতুন ডিজাইনের কার্ড থাকছে না। আগের ডিজাইনেই মেট্রো কার্ড হচ্ছে, কালারটার শুধু বদলাচ্ছে। আর একক যাত্রার কার্ডের রং লাল করে দিচ্ছি যেন সহজে আইডেন্টিফাই করা যায়।”

তিনি বলেন, “প্রতিদিন অন্তত ৫০,০০০ একক যাত্রার টিকিট হলে সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলে। কিন্তু এই মুহূর্তে আছে ৪০,০০০ কার্ড। তাই সংকট তৈরি হয়েছে। মানুষজন নিয়ে গেছে। কিছু কার্ড টেকনিক্যাল কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু কার্ড গ্রাহকরা হারিয়েছে।”

মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “কার্ডের ডিজাইন নিয়েও একটা আলোচনা ছিল। নতুন ডিজাইনের কার্ড থাকছে না। আগের ডিজাইনেই মেট্রো কার্ড হচ্ছে, কালারটার শুধু বদলাচ্ছে। আর একক যাত্রার কার্ডের রং লাল করে দিচ্ছি যেন সহজে আইডেন্টিফাই করা যায়।”

ঢাকায় মেট্রো রেলের যাত্রীদের জন্য দুই ধরনের টিকিট ইস্যু করা হয়। একটি এমআরটি পাস বা র‍্যাপিড পাস, অন্যটি একক যাত্রার টিকিট। যাত্রী র‍্যাপিড পাস কেনার পর টাকা না ফুরানো পর্যন্ত তা ব্যবহার করতে পারেন, কার্ডটি নিজের কাছে রাখতে পারেন।

একক যাত্রার যাত্রীরা স্টেশন থেকে তাৎক্ষণিক টিকিট কিনে যাত্রা করতে পারেন। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় সেই টিকিট ফেরত দেওয়া বাধ্যতামূলক।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেট্রোরেল চালুর সময় একক যাত্রার ২ লাখ ৪৮ হাজার টিকেট দেওয়া হয়েছিল।

গত ১৪ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে আবদুর রউফ জানান, এর মধ্যে ১৩ হাজার নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ২ লাখ টিকেট যাত্রীরা বিভিন্ন সময় তাদের সঙ্গে নিয়ে গেছেন।

সেসব কার্ড ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। তাতে কিছু কার্ড ফেরত আসে। সব মিলিয়ে বর্তমানে মেট্রো কর্তৃপক্ষের আছে একক যাত্রার প্রায় ৪০ হাজার টিকেট আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়