শিরোনাম
◈ বর্তমান ডামি সরকার দেশটিকে একটি লুটপাটের দেশ বানাতে চাচ্ছে: রিজভী ◈ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের শেয়ার হস্তান্তরে স্থিতাবস্থা, কাজ বন্ধ ◈ ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস আজ ◈ জাবালিয়া তুমুল লড়াই অন্তত ১২ ইসরায়েলি সেনা নিহত  ◈ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে, তদন্ত কমিটি গঠন ◈ দুর্নীতির মামলায় জামিন পেলেন ইমরান খান ◈ ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি ◈ বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট ◈ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের পথে বাংলাদেশ দল ◈ বাংলাদেশে বাড়িতে সন্তান প্রসবের উচ্চহারে জাতিসংঘের উদ্বেগ, পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০৬:৪৪ বিকাল
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০৬:৪৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আগামি ৯ মে

আদালত প্রতিবেদক: [২] সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আরুণাভ চক্রবর্ত্তী রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামি ৯ মে দিন ধার্য করেছেন।

[৩]  মামলায় আসামিরা হলেন ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

[৪]  ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

[৫]  মামলার অভিযোগ বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয় এবং এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করলে তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। পরবর্তীতে রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করলে সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

[৬]  ৩০ জুলাই, ১৯৯৯ গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী মামলাটির তদন্ত শেষে নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। ৩০ অক্টোবর, ২০০১ ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

[৭]  মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ১৯ নভেম্বর, ২০০৩ হাইকোর্টে রিট করলে হাইকোর্ট ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৪ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ৫ অগাস্ট, ২০১৫ রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

[৮]  সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত এলে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়