জেরিন আহমেদ: [২] এক বাস টার্মিনাল থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুত্রজায়ার ইমিগ্রেশন ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অপারেশনস ডিভিশন। স্থানীয় সময় রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেআইএম) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। সূত্র: সময় টিভি, ঢাকা পোস্ট
[৩] গত ৩০ আগস্ট বিকেলে এক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
[৪] বিবৃতিতে অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রাসলিন জুসোহ বলেছেন, আটকদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ ও চারজন নারী রয়েছেন। আটককৃতরা কোটা বাহরু এক্সপ্রেস বাস স্টেশন থেকে কুয়ালালামপুরে এসেছেন। তারা অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করেছে বলে আমরা মনে করছি।
[৫] অভিযানে অপারেশন টিম ইস্ট কোস্ট হাইওয়েতে এসব বিদেশি নাগরিককে বহনকারী তিনটি পৃথক এক্সপ্রেস বাসকে অনুসরণ করে। পরবর্তীতে একটি বাস থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে ২০ জন বাংলাদেশি ছাড়াও ১৬ জন মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছেন।
[৬] তিনি আরও বলেন, আটক ব্যক্তিদের পাসপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাদের কারো পাসপোর্টে কোনো বৈধ ইমিগ্রেশন বিভাগের স্ট্যাম্প ছিল না। এমনকি দেশটিতে প্রবেশের কোনো ট্রাভেল ডকুমেন্ট ছিল না। এদের কয়েকজনের পাসপোর্টের অতীত রেকর্ডে দেখা গেছে, তারা মালয়েশিয়ায় কালো তালিকাভুক্ত ছিলেন।
[৭] অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জানান, মানবপাচার চক্রের সদস্যরা অবৈধ পথে চোরাচালানের আগে প্রতিবেশী দেশগুলো দিয়ে তাদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসে। এরপর অভিবাসন বিভাগের চোখকে ফাঁকি দিয়ে গণপরিবহন ব্যবহার করে বিভিন্ন রাজ্যে পাঠিয়ে তাদের অবৈধভাবে কাজ দেওয়া হয়। মানবপাচার চক্রের সদস্যরা বিদেশিদের কাছে থেকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য ১০ হাজার রিঙ্গিত করে নিয়েছে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
আপনার মতামত লিখুন :