শিরোনাম
◈ মিয়ানমারে তীব্র সংঘর্ষ: নাফ নদীর পাড়ে কয়েকশ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা ◈ গাজা সংকটে আলোচনার নতুন সূচনা: হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত ◈ জুলাইয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের এক টাকাও খরচ করতে পারেনি ১২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ◈ শেখ হাসিনার মামলায় ট্রাইব্যুনালে ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ ◈ চলতি সপ্তাহে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে: ইসি সচিব ◈ সিলেটে পাথরকাণ্ড: ডিসির পর এবার ইউএনওকে বদলি ◈ যে তিন শর্তে পিতৃত্বকালীন ছুটি দিতে রাজি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ◈ ৫৫ বছরের রেকর্ড ৯৩৭ কোটি টাকা মুনাফা বিমানের ◈ ভারত কি বাণিজ্য যুদ্ধ সামাল দিতে পারবে? ◈ ১৮ বছর আগে বরখাস্ত ৮৫ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ, প্রজ্ঞাপন জারি

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:৩০ রাত
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দলদাস ও ব্যক্তিপূজার সাংবাদিকতা জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে: সিনিয়র সাংবাদিক আনোয়ার চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যক্তিপূজার সাংবাদিকতা রাজনীতিকদেরকে ফ্যাসিস্ট হতে উৎসাহী করে বলে মন্তব্য করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আনোয়ার চৌধুরী। তিনি বলেছেন, নানামোহে ভুলে গেলে চলবে না দলদাস সাংবাদিকতার পরিণতি হতে পারে অনেক ভয়াবহ। এতে দেশ, জাতি, মানুষ, সমাজ সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অতীতে, সামনের দিনেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) নিজের ব্যক্তিগত ভেরিফাইড ফেইসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব মন্তব্য করেন। মূলত এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে নিয়ে বাসসের একটি প্রতিবেদন এবং ওই প্রতিবেদনটি শিরোনাম পরিবর্তন করে যুগান্তরে প্রকাশ হওয়ার পর তা নিয়ে সমালোচনামূলক পোস্ট দেন আনোয়ার চৌধুরী। 
স্ট্যাটাসে সিনিয়র এই সাংবাদিক উল্লেখ করেন, ‘যেভাবে দেশ মাটি ও মানুষের নেতা হয়ে উঠেন আখতার হোসেন’ - শিরোনামে যুগান্তরের অনলাইনে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শব্দের ওই প্রতিবেদনটি ছিল সাক্ষাতকারভিত্তিক। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে ১১ আগস্ট। বাসস প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ৮ আগস্ট। বাসসের শিরোনাম ছিল- ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন পুরো বাংলাদেশকে এক সুতোয় বেঁধেছিল : আখতার হোসেন।’ 

আনোয়ার চৌধুরী তাঁর স্ট্যাটাসে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘একজন আখতার হোসেনকে নিয়ে যুগান্তরের এই শিরোনাম কতোটা যুক্তিযুক্ত ও মানানসই ছিল পাঠকের কাছে? একটি নতুন রাজনৈতিক দলের সদস্যসচিব যদি বাসস কিংবা যুগান্তর থেকে সাড়ে তিন হাজার শব্দের কাভারেজ প্রাপ্য হয়, তাহলে মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে নানা সময়ের আন্দোলন-সংগ্রামে যেসব রাজনৈতিক নেতা জীবনবাজি রেখে আন্দোলন করেছেন, তাঁদের কাভারেজ কী হতে পারে।’

আনোয়ার চৌধুরী বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে আখতার হোসেন এখন একটি রাজনৈতিক দলের নেতা। তাকে শিরোনামের মাধ্যমে ‘দেশ মাটি ও মানুষের নেতা’ বানিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ অন্যসব প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জুলাই আন্দোলনে আখতার হোসেনদের অবদান স্বীকার করলেও ‘দেশ মাটি ও মানুষের নেতা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।’

সাংবাদিকতা অনেক বছর ধরেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে দাবি করে আনোয়ার চৌধুরী স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, ‘ব্যবসায়ীদের কেউ-কেউ রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সুবিধা ভোগ করতে এবং নিজেদের ব্যবসায়ীক-ব্যক্তিগত অপকর্ম আড়াল করতে দেশে  বড়-বড় মিডিয়া হাউস তৈরি করেছেন। এর পর থেকেই দেশে পেশাদার সাংবাদিকতার বড়ই দুর্দিন চলছে। আমাদের অগ্রজ সাংবাদিকদের অনেকেই দলদাস ও অনুগত সাংবাদিকতার চর্চা করতে গিয়ে গত ষোলবছর সাংবাদিকতার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর পেশাদার সংবাদকর্মীরা পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু  সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে অনেক অগ্রজদের কারণে। এখনও দৃশ্যমান রয়েছে দলদাস-অনুগত এবং ব্যক্তিপূজার সাংবাদিকতা। 
স্ট্যাটাসের শেষাংশে আনোয়ার চৌধুরী উল্লেখ করেন, ‘পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে পেশাদার সাংবাদিকতার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকতে আর বেশিদিন লাগবে না। দেশ ও জাতির কল্যাণের স্বার্থে দ্রুত দলদাস সাংবাদিকতা পরিহার করে পেশাদার সাংবাদিকতায় ফিরতে হবে সংবাদকর্মীদের। নানামোহে ভুলে গেলে চলবে না দলদাস সাংবাদিকতার পরিণতি হতে পারে অনেক ভয়াবহ। ব্যক্তিপূজার সাংবাদিকতা রাজনীতিকদেরকে ফ্যাসিস্ট হতে উৎসাহী করে। এতে দেশ, জাতি, মানুষ, সমাজ সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অতীতে, সামনের দিনেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।  ইতিহাস ও নতুন প্রজন্ম দলদাস সাংবাদিকতাকে ক্ষমা করবে না। শুধু সময়ের অপেক্ষা।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়