শিরোনাম
◈ পিআর বিতর্ক ও রাজনৈতিক জোট: নির্বাচনের রোডম্যাপ দৃঢ় ◈ জ্বর হলেই ডেঙ্গুর পরীক্ষা করানোর পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ◈ পে স্কেল কাঠামোর বাইরে রয়েছেন যারা ◈ শীঘ্রই ফিরবেন শেখ হাসিনা, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফিরবেন তারেক রহমান, কে আগে ফিরবেন: গোলাম মাওলা রনি ◈ এবার বিদেশি ইউটিউবার মোহাম্মাদপুরের ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরলো (ভিডিও) ◈ আফগা‌নিস্তান‌কে হোয়াইটওয়াশ করে ছাড়‌লো বাংলা‌দেশ ◈ প্রস্তাবিত রোডম্যাপ: গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রকাশ ◈ জনপ্রশাসনে বড় পরিবর্তন: উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত নতুন কাঠামো ◈ বিএনপির কাছে শতাধিক আসন চায় মিত্র দলগুলো, চলছে দর-কষাকষি ◈ বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৯ কর্মকর্তার তথ্য চেয়েছে দুদক

প্রকাশিত : ০৪ মে, ২০২৫, ১২:০৪ রাত
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবার রিপাবলিক বাংলা বন্ধ ও ময়ূখকে গ্রেফতারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গে বি'ক্ষো'ভ (ভিডিও)

বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রচারের অভিযোগে কলকাতায় রিপাবলিক বাংলা টিভি চ্যানেলের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন একদল সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ, চ্যানেলটির সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে সংবাদ উপস্থাপনার নামে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছেন।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, রিপাবলিক বাংলার প্রতিবেদনগুলোতে বারবার হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়কে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। চ্যানেলটির সংবাদ উপস্থাপনা কৌশলে ব্যক্তিগত মতামত ও রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব প্রকাশ পায়, যা সাংবাদিকতার নীতিবিরুদ্ধ। তাঁরা দাবি করেন, এই চ্যানেলের সাংবাদিকরা আসলে ভারতের কট্টরপন্থী রাজনৈতিক গোষ্ঠী বিজেপি ও আরএসএস-এর মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন।

চ্যানেলটির প্রধান উপস্থাপক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভিত্তিহীন খবর প্রচার করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর এসব সংবাদে বাংলাদেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা আরও জানান, ময়ূখ রঞ্জনের আচরণ সাংবাদিকতা পেশার জন্য লজ্জাজনক। চিৎকার, অশোভন অঙ্গভঙ্গি ও অপমানজনক শব্দচয়নের মাধ্যমে তিনি “হকার সাংবাদিক” হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। তাঁর এসব কার্যকলাপে শুধু বাংলাদেশের সুনাম নয়, ভারতের গণতন্ত্র ও সংবিধানের মানও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

বিক্ষোভকারীরা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন যে, যদি দ্রুত ময়ূখ রঞ্জন ঘোষকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা না হয় এবং রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলটি বন্ধ করা না হয়, তবে আন্দোলন আরও বিস্তৃত আকার ধারণ করবে। এ নিয়ে ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন থানায় শতাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে বলেন, “এই ধরনের উস্কানিমূলক ও বিভাজনমূলক প্রচার চালানো ব্যক্তিরা সমাজের ক্যান্সার। যত দ্রুত সম্ভব এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হবে, এবং তার প্রভাব পড়বে রাজ্যের অর্থনীতিতেও।”

আন্দোলনকারীরা সতর্ক করেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আরও তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে, যদি তাঁদের বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়