শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:৩৯ দুপুর
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:৩৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঢেঁকি

শাহাদাত হোসেন, রাউজান (চট্টগ্রাম): [২] একসময় গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে ছিলো ধান ভাঙার কাঠের তৈরি ঢেঁকি। এই ঢেঁকিতে সে সময় গ্রাম বাংলার গৃহবধূরা ধান ভাঙিয়ে নানা রকমের পিঠাপুলি তৈরি করতো। অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে নতুন ধান ঘরে উঠলে প্রতিটি বাড়িতেই নানা রকম পিঠা ও পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ে যেতো। সে সময়ে গৃহবধূরা নতুন আমন ধান ঘরে উঠলে ধান ভাঙার কাজ করতো ঢেঁকিতে। 

[৩] সকালের ভোরে ঢেঁকির ছন্দময় শব্দে ঘুম ভাঙত অনেকের। আবার অনেকের রাতের ঘুম নষ্ট হতো ঢেঁকির এই ছন্দময় শব্দে। সেই সময়ের দৃশ্য গুলো এখন চোখে পড়ে না। কালের পরিবর্তনে দেশের গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে গেছে ধান ভাঙ্গার প্রধান যন্ত্র সে কাঠের ঢেঁকি। ঢেঁকির জায়গায় এসেছে আধুনিক যন্ত্র মেশিন। বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতির ছেঁয়ায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী কাঠের তৈরি ঢেঁকির ব্যবহারের শব্দ আর শুনা যায় না। 

[৪] রাউজান উপজেলার ইয়াসিন নগর গ্রামের কৃষক নরল আলম বলেন, একসময় আমাদের বাড়িতে ধান ভাঙার একমাত্র ভরসা ছিলো ঢেঁকি। সেই সময় মানুষ ঢেঁকিতর ধান,চাল ভেঙে চিড়া তৈরিক করে জীবিকা নির্বাহ করতো। তবে আগের সে পুরানো স্মৃতিগুলো চোখে পড়ে না। বর্তমানে আধুনিক মেশিন দিয়ে ধান ও চাল ভাঙে। সে সময়ে কবি সাহিত্যিকরা ঢেঁকি নিয়ে অনেক কবিতা ও গান লিখেছেন। ঢেঁকি ছাঁটা চাল পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং খেতেও খুব সুস্বাদু। বর্তমান নতুন প্রজন্ম সে স্বাদ থেকে বঞ্চিত। 

[৫] গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নাসিরাবাদ বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাইজভান্ডারী একাডেমির আয়োজিত শিশু কিশোর সমাবেশে চোখে পড়ে গ্রাম বাংলার ঢেঁকি প্রদর্শন। এসব পুরনো স্মৃতিগুলো বিভিন্ন শিশু-কিশোর সমাবেশ ও স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তুলে ধরলে নতুন প্রজন্মেরা বাংলার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে নতুন প্রজন্ম হয়তো ঢেঁকির কথা শুনলে সেটি কি জিনিষ দেখেনি, সেটি তাদের কাছে গল্পের মতো। এ বাংলার গ্রামের ঐতিহ্য ঢেঁকিকে স্মরণ করাতে হলে জাতীয় যাদু ঘরে ঢেঁকি সংরক্ষণ করে রাখা উচিত বলে মনে করছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষ।

প্রতিনিধি/আইএফ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়