শিরোনাম
◈ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজ সারাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক ◈ ওসমান হাদি বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেভাবে জরুরি হয়ে উঠেছিলেন ◈ সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ ও মেয়রের বাড়িতে আগুন ◈ হাদির হত্যাকাণ্ড রাজনীতিতে ভয়াবহ মোড়ের ইঙ্গিত: আলজাজিরার বিশ্লেষণ ◈ পা‌কিস্তা‌নের কা‌ছে পরা‌জিত হ‌য়ে যুব এ‌শিয়া কা‌পের সেমিফাইনাল থে‌কে বাংলাদেশের বিদায় ◈ বাংলাদেশ ইস্যুতে সংলাপ বজায় রাখার সুপারিশ, হাসিনার রাজনৈতিক ভূমিকা নয়: ভারত ◈ শহীদ ওসমান হাদির জানাজাকে ঘিরে ৭ নির্দেশনা ডিএমপির ◈ গভীর রাতে নদী ও ইটভাটায় চলে প্রশিক্ষণ, চার বিভাগে সক্রিয় শুটার নেটওয়ার্ক ◈ হাদি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত, ঢাকায় বিজিবি মোতায়েন, বিদেশি নাগরিকদের বিশেষ সতর্কতা ◈ সুদানে ড্রোন হামলায় শহীদ ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছাবে শনিবার

প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:৫৮ দুপুর
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:৫৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাউল সম্রাট শাহ্ আব্দুল করিমের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাউল সম্রাট শাহ্ আব্দুল করিম

জাকারিয়া জোসেফ, সুনামগঞ্জ: কোন মেস্তোরি নাও বানাইছে কেমন দেখা যায়, ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূর পংকি নায়, কেন পিরিতি বাড়াইলেরে বন্ধু ছেড়ে যাইবা যদি। এমন অসংখ্য জনপ্রিয় কালজয়ী গানের রচয়িতা বাউল সম্রাট শাহ্ আব্দুল করিমের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের ভাটির জনপদ দিরাই উপজেলার অজপাড়া গায়ের একটি গ্রাম উজানধলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ৯৩ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর থেকে সর্বন্তরের সাধারণ মানুষের কাছে বিশেষ করে বাউল প্রেমিদের কাছে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেন বাউল শাহ্ আব্দুল করিম।

অসংখ্য গণজাগরণের গানের রচয়িতা বাউল শাহ্ আব্দুল করিম একটি অসহায় ও গরীব পরিবারে জন্ম নেয়ার কারণে লেকাপড়ায় বেশী অগ্রসর হতে না পারলেও, তিনি অন্যের বাড়িতে গরু রাখালি করে হাওরে বসে বসে গান রচনা করতেন। তিনি অত্যন্ত সহজ-সরল জীবনযাপন করতেন। গানে-গানে অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় লড়াই করেছেন ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। এ জন্য মৌলবাদীদের দ্বারা তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে অপমানের শিকার হলেও তিনি থেমে থাকেননি। স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠা নানা আন্দোলন সংগ্রামে গণ-মানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তার নিজের তৈরি করা বাউল গানের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষজনকে উজ্জীবিত করেছেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পথে পথে গান গেয়ে গণজাগরণ সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। পেয়েছেন একুশে পদক।

এই প্রাণঘাতি মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে দুই বছর তার গ্রামের বাড়ি উজান ধল গ্রামে তার ভক্তরা গানের আসর কম করেছেন। এবার শাহ্ আব্দুল করিমের মৃত্যুবার্ষিকীতে গানের আসর বসবে উজানধলে। নানা অনুষ্ঠানে চলছে শাহ্ আব্দুল করিমের গান ও তাকে নিয়ে আলোচনা।

বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরিতি শিখাইছে/আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, গাড়ি চলে না/আমি কূলহারা কলঙ্কিনী/কেমনে ভুলিব আমি বাঁচি না তারে ছাড়া, আমি তোমার কলের গাড়ি/সখী কুঞ্জ সাজাও গো/জিজ্ঞাস করি তোমার কাছে মানুষ হয়ে তালাশ করলে/ আমি বাংলা মায়ের ছেলেসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা শাহ্ আব্দুল করিম না থাকলেও গানে আর সুরে কখনো আনন্দ দেবে, কখনো বা গণজাগরণকে শাণিত করবে। আব্দুল করিমকে যেন শুদ্ধভাবে চর্চা করা হয় সে দাবি সংস্কৃতিকর্মীদের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়