১. আপনিই আগে হাত বাড়ান: আপনিই আগে অন্যের দিকে হাত বাড়ান। মানে আপনিই আগে ফোন করুন। খুদে বার্তা পাঠান। কোনো কিছুর প্রস্তাব দিন। পরিকল্পনা করুন। উদ্যোগী হোন। অনেকেই তাঁকে কবে, কখন, কে বেছে নেবে—সেই অপেক্ষায় থাকে। আপনি ‘চুজেন’ হওয়ার অপেক্ষায় না থেকে বরং ‘চুজার’ হোন। খবর: কি ফর সাকসেস
২. ধারাবাহিক থাকুন: আপনার লক্ষ্যকে ছোট ছোট ভাগ করুন। সে অনুযায়ী প্রতিদিনের কর্মসূচি নির্ধারণ করুন। প্রতিদিন হয়তো আপনি একই রকম ‘এফোর্ট’ দিতে পারবেন না। তবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রতিদিন কিছু না কিছু করুন। গতি কম-বেশি হতেই পারে, তবে পথ হারানো চলবে না।
৩. নতুনের স্বাদ নিন: প্রতিদিন নতুন নতুন স্মৃতি তৈরি করুন। বই পড়ুন। সিনেমা দেখুন। পার্কে যান। হাঁটুন। ফিটনেস ঠিক রাখুন। নিজের জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে গুছিয়ে রাখুন। নিজের কাজটা খুবই সিরিয়াসলি করুন। মানুষের সঙ্গে গল্প করুন।
নতুন কিছু সৃষ্টি করুন। যা আছে, তা উপভোগ করুন। টাটকা, ভালো খাবার খান। খাওয়ার সময় ভুলেও স্ক্রিন দেখবেন না। নতুন নতুন জায়গায় ঘুরুন। প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু শিখুন। প্রিয় মানুষের সঙ্গে সময় কাটান। জীবন একটাই। এটাকে অভিজ্ঞতার আলোকে সমৃদ্ধ করুন।
৪. কিছুই অপ্রকাশিত নয়: এর মানে হলো, আপনি যা পড়েন, দেখেন, তা আপনার কথোপকথন, চেহারা ও কাজে প্রকাশ হয়ে যায়। আপনি যদি ব্যায়াম করেন, শরীরে তা ফুটে ওঠে। আপনি যে রকম খাবার খান, তেমনই অনুভব করেন। আপনি শৃঙ্খলাবদ্ধ হলে আপনার আত্মবিশ্বাসে তার প্রতিফলন থাকবেই। আপনি কোথায় লক্ষ্য স্থির রেখে আগান, ফলাফলে তা প্রকাশ হয়ে পড়ে।
৫. চেষ্টা থামাবেন না: সফল মানুষেরা নিজেদের কাজের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব রাখেন। অন্যে যখন কী কারণে হচ্ছে না সেই ফিরিস্তি দিতে থাকে, সফল মানুষেরা তখন অন্যভাবে সফল হওয়া যায় কি না, সে চেষ্টা করতে থাকেন। তাঁরা কখনোই চেষ্টা করা থামান না। আর আশা বাঁচিয়ে রাখেন।
৬. একাই শুরু করুন : আপনি যদি কাল থেকে দৌড়াতে চান, দৌড়াতে যান। আগেই সঙ্গী খুঁজবেন না। দেখবেন পঞ্চম দিন, দ্বাদশ দিন অথবা এক মাসের মাথায় আপনি ঠিকই সমমনা একজনকে আপনার পাশে পেয়ে গেছেন!
৭. সৃষ্টিশীল থাকুন: গবেষণায় দেখা গেছে, সুখী মানুষেরা প্রত্যেকে কিছু না কিছু সৃষ্টি করেন। তৈরি করেন। তাঁরা সৃষ্টিশীল কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখেন। তাঁরাও জীবনে উত্থান–পতনের ভেতর দিয়ে গিয়েছেন। তবে সৃষ্টিশীল কাজ তাঁদের বিষণ্নতা থেকে বাঁচিয়েছে। নার্ভাস সিস্টেমকে হাইজ্যাক করে প্রতিনিয়ত জীবনের আনন্দ খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে। আপনাকে যে সুরই সৃষ্টি করতে হবে বা অনবদ্য একটা ছবি আঁকতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বাগান করুন, সেলাই শিখুন, ইউটিউব দেখে একটা পদ রেঁধে ফেলুন।
৮. আজকের দিনটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: বর্তমানে বাঁচুন। এর অর্থ হলো, অতীত নিয়ে বেশি আফসোস না করে, ভবিষ্যতের অতিরিক্ত চিন্তা না করে আজকের দিনটিকে পুরোপুরি উপভোগ করা ও কাজে লাগানো। এর জন্য অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিন, দুর্ঘটনা থেকে সাহসী আর শক্তশালী হোন। সেসবে আটকে থাকবেন না। আবার ভবিষ্যতে নেতিবাচক কী হতে পারে, সেই আশঙ্কা করে বর্তমানকে নষ্ট করবেন না। বর্তমান একটা উপহার, আর সেটির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে মোটেও পিছপা হবেন না। অনুবাদ: প্রথম আলো