এ আর শাকিল: [২] ঈদের দিন সকালে গোসল করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন, উত্তম জামাকাপড় পরা সুন্নত। সুগন্ধি ব্যবহার করা, ঈদগাহে পায়ে হেঁটে এক পথে যাওয়া ও অন্যপথে আসা সুন্নত।
[৩] ঈদুল আজহার অন্যতম করণীয় হচ্ছে এ দিন তাকবির পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করা।
[৪] ঈদের আনন্দ প্রকাশ করা। আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর খোঁজ নেওয়া, পারস্পারিক মনোমালিন্য দূরীকরণ ও একে অপরকে আপ্যায়ন করা। আনন্দের নামে অনৈতিক কাজ থেকে দূরে থাকা।
[৫] পশু কুরবানির প্রস্তুতি হিসেবে ছুরি, বটি ইত্যাদি যন্ত্রপাতি ঈদের আগেই ধারালো করে নেয়া ও গরম পানিতে ১-২ মিনিট ডুবিয়ে রেখে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেয়া। অন্যান্য উপকরণ সংগ্রহ করে রাখা।
[৬] কোরবানি ঈদের আগের রাত ১০ টার পর থেকে কোরবানির পশুকে কোন প্রকার খাদ্য খাওয়ানো উচিত নয়, তবে প্রচুর পরিমাণ পানি খাওয়াতে হবে। ঈদের মাঠে যাওয়ার আগে সকালে কোরবানীর পশুকে ভালোভাবে গোসল করাতে হবে।
[৭] যত্নসহকারে চামড়া ছাড়াতে হবে, অবশ্যই আগা ভোতা ছুরি ব্যবহার করতে হবে। গরিবদের হক যেন নষ্ট না হয় খেয়াল রাখতে হবে। কোরবানির পর পশুর তরল ও অন্যান্য বর্জ্য খোলা স্থানে বা যত্রতত্র না ফেলা । এগুলো গর্তের ভেতরে পুঁতে মাটিচাপা দিয়ে দেয়া। আর যদি রক্ত মাটি থেকে সরানো সম্ভব না হয়, তা হলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
[৮] জবাইয়ের সময় পশুর খাদ্যনালী, শ্বাসনালীসহ গলায় অবস্থিত অন্যান্য রগের অন্তত আরও দু'টি কাটলেও হবে। জবাইয়ের পর পশু নড়াচড়া করছে- এমন সময়েই চামড়া খসানো, হাত-পা কাটা, বুকের ভেতর বা নালীতে ছুরিবিদ্ধ করা নাজায়েজ।
[৯] জবাই করা, গোশত বানানো অথবা কোরবানি সংশ্লিষ্ট কোনো কাজে যারা সহযোগিতা করেছে- সে সবের বিনিময় হিসেবে পশুর কোনো অংশ তাদেরকে দেওয়া যাবে না। নগদ অর্থ দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে তাদের পাওনা পরিশোধ করতে হবে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কোরবানির গোশত উপহার দেওয়া কিংবা দান করা জায়েজ। মুফতি মাফুজুল হক
[১০] কোরবানির গোশত তিন ভাগ করা মোস্তাহাব। এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবকে উপহার দিন। এক ভাগ গরিব-মিসকিনকে দান করুন। এক ভাগ নিজের পরিবার-পরিজনদের জন্য রেখে দিন। চাহিদার আলোকে ইনসাফমত ভাগ কম-বেশি করা নাজায়েজ নয়। বাংলানিউজ২৪.কম
সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২