ইমরুল শাহেদ: [২] পাকিস্তানে সরকার গঠন নিয়ে এখন চলছে টানটান উত্তেজনা। প্রতিদ্ধন্দ্বী তিনটি প্রধান দলের কেউই যেহেতু সরকার গঠন করার মতো আসন পায়নি যেহেতু কেন্দ্রে জোট সরকারই গঠিত হবে। নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং বিলওয়াল ভূট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)’র মধ্যে জোটবদ্ধ হওয়ার আলোচনা চললেও, সেটা আটকে আছে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তার মধ্যে।
[৩] ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ব্যারিস্টার গহর আলী খান রোববার গণমাধ্যমকে বলেছেন, সরকার গঠনে তারা বিভিন্ন বিকল্প পথ খুঁজছেন। তবে তারা পিএমএল-এন বা পিপিপির সঙ্গে যোগাযোগ করবে না।
[৪] তিনি বলেন, পিটিআই অন্য কোনো মিত্র বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘আমরা পিএমএল-এন বা পিপিপির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্বস্তিপূর্ণ হবে না। সরকার গঠন নিয়ে তাদের কারো সঙ্গেই আমরা কথা বলব না। তারচে সরকার গঠন না করে বিরোধী দলে থাকাই ভালো। কিন্তু আমরা এখনও মনে করি আমরাই সংগরিষ্ঠ।’
[৫] জিওনিউজকে ব্যারিস্টার গহর আলী খান বলেছেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের বেচাকেনা বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছে পিটিআই।
[৬] নির্বাচনের ফলপ্রকাশে দেরি হওয়ায় অনিয়ম কারচুপির অভিযোগ তোলে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। গত শনিবার থেকে রাজধানী ইসলামাবাদ ও পেশোয়ারসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করছেন পিটিআই, জেআই ও জেইউআই-এফ-এর হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক।
[৭] পিটিআই অভিযোগ করেছে, তাদের অনেক প্রার্থী নির্বাচনে জিতলেও ফলাফলে কারচুপি করা হয়েছে। ইসলামাবাদ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক কামাল হায়দার বলেছেন, পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে, এমন তিনটি আসনে স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :