শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০১:৫৮ দুপুর
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১০:০৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জন্মহার বাড়াতে প্রত্যেক রুশ মহিলাকে ৮ সন্তান জন্ম দিতে পুতিনের অনুরোধ!

পুতিন

ইকবাল খান: [২] রাশিয়ায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে দেশটির মহিলাদের জন্য বিশেষ এই  অনুরোধ করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। বেশি সংখ্যক সন্তান জন্ম দেওয়াই দেশের স্বাভাবিক রীতি করে তুলতে চান বলেও জানিয়েছেন পুতিন। সূত্র: আনন্দবাজার

[৩] মঙ্গলবার মস্কোয় রাশিয়ান পিপ্লস কাউন্সিলে ভাষণ দেওয়ার সময়ে মহিলাদের কাছে এই আর্জি জানান পুতিন। দেশের পরিবারগুলিকে তিনি বড় করে তুলতে চান। ছোট পরিবার চান না।

[৪] এ প্রসঙ্গে পুতিন দেশের মহিলাদের অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। রাশিয়ায় কয়েক প্রজন্ম আগেও মহিলারা সাত থেকে আটটি করে সন্তানের জন্ম দিতেন। পরিবারে ছিল একসঙ্গে অনেক প্রজন্মের বাস।

[৫] অতীতে এক পরিবারে সাত-আটটি করে সন্তানের যে রীতি প্রচলিত ছিল, তার অন্যতম কারণ চিকিৎসা পরিষেবার ঘাটতি। চিকিৎসা বিজ্ঞান আগে এত উন্নত ছিল না। ফলে সদ্যোজাত সন্তানের মৃত্যুর আশঙ্কা ছিল অনেক বেশি। সে কথা মাথায় রেখেই দুইয়ের অধিক সন্তান ধারণ করতেন মহিলারা।

[৬] পরবর্তীকালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। কম সংখ্যক সন্তানের জন্ম দিয়ে বাবা-মা সেই সন্তানের পড়াশোনায় অধিক খরচ করে থাকেন। ফলে সন্তান অধিক উপার্জন করেন এবং দেশে ধনী শিক্ষিত জনসমাজ গড়ে ওঠে। 

[৭] নব্বইয়ের দশক থেকে রাশিয়ায় জন্মহার কমছে। জনসংখ্যা কমে আসায় রাশিয়ায় কর্মক্ষম শ্রমিকের পরিমাণও কমে গিয়েছে। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। অর্থনীতি হয়ে পড়ছে শ্লথ, গতিহীন। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে পশ্চিমি বিধিনিষেধ পুতিনের দেশের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

[৮] অধিক সন্তানের জন্য দেশে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন পুতিন। তিনি জানিয়েছেন, যে সব রাশিয়ান মহিলা ১০ বা তার বেশি সন্তানের জন্ম দিয়ে তাদের বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন, সরকারের পক্ষে তাঁরা পাবেন ১৬ হাজার ডলার।

[৯] পুতিন কিন্তু প্রথম নন। এর আগে একই আর্জি দেশবাসীর কাছে জানিয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ একাধিক রাষ্ট্রপ্রধান। দেশকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য জন্মহার বৃদ্ধির বিষয়টি তাঁদের কাছে প্রাধান্য পেয়ে এসেছে।

[১০] চীন সরকার কয়েক বছর আগে জনগণের জন্য তিন সন্তান নীতি চালু করেছিল। সরকার থেকে সাধারণ মানুষকে অন্তত তিনটি সন্তানের জন্ম দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়াও একই পথে হেঁটেছে। অধিক সন্তানের জন্মে সে দেশের সরকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। সাধারণ মানুষকে সন্তানধারণে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।

[১১] জন্মহার বৃদ্ধিতেও সচেষ্ট জাপানের সরকারও। তারা নাগরিকদের জন্য বাড়তি ছুটি মঞ্জুর করেছে। তবে শর্ত একটাই, অধিক সংখ্যক সন্তান জন্ম দিতে হবে। 

ইকে/জেএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়