সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই শুক্রবার সকালে আবার ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে খবরে নিহতের এসংখ্যা জানানো হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫৮৯ জন। অন্তত ২০টি বসতবাড়িসহ অন্তত ১০০টি স্থানে বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সূত্র: আল জাজিরা, এএফপি
[৩] ইসরায়েলি হামলার জবাবে হামাস ও ইসলামিক জিহাদসহ গাজার স্বাধীনতাকামী প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর যোদ্ধারা ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী এলাকা লক্ষ্য করে রকেট ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করেছেন। এতে পাঁচ ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছেন।
[৪] গাজায় গত ২৪ নভেম্বর শুরু হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতি দুই দফা বাড়িয়ে সাত দিন করা হয়। ইসরায়েল সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ‘হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। পরে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে আবারও হামলা শুরু করেছে।’ হামাস ইসরায়েলে এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
[৫] যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানকালেই আবার শুরু হয় নতুন এ লড়াই। আগের দিন, গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের যুদ্ধকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নেন ব্লিনকেন। দৃশ্যত ওই বৈঠকে গাজায় নতুন করে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলকে তিনি ওয়াশিংটনের ‘সবুজ সংকেত’ দেন বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।
[৬] গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরে গাজায় স্থল অভিযানও শুরু করে তারা। টানা ৪৭ দিনের হামলায় গাজায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের ৭০ ভাগই নারী ও শিশু। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার ১৮ লাখই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ২৪ নভেম্বর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চলাকালে হামাস ১০৫ জিম্মিকে এবং ইসরায়েল ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয়।
এসআই/এইজএ
আপনার মতামত লিখুন :