ইকবাল খান: [২] শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা দ্বীপে ৪৫০ কোটি ডলার ব্যয়ে একটি বড় তৈলশোধনাগার তৈরি করবে চিনা সংস্থা। সোমবার চিনা তৈলশোধনকারী সংস্থা সিনোপেককে সে বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভা। সূত্র: আনন্দবাজার
[৩] হামবানটোটায় যে তৈলশোধনাগার চীন তৈরি করবে, সেখানে তেলের ব্যবসা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার মন্ত্রী কাঞ্চন উইজেসেকারা। শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর হামবানটোটা। কলম্বোর পরেই তার স্থান। ভূ-রাজনীতিগত দিক থেকেও এই দ্বীপের গুরুত্ব রয়েছে।
[৪] বন্দরটি ২০১০ সালে তৈরি করা হয়। ২০১৭ থেকে তা শ্রীলঙ্কান বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং চীনের একটি বন্দর গোষ্ঠীর যৌথ পরিচালনার অধীনে রয়েছে। চিনা গোষ্ঠীর নাম হামবানটোটা আন্তর্জাতিক বন্দর গোষ্ঠী। চীনের ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ঋণ নিয়েই হামবানটোটা দ্বীপে বন্দর গড়ে তোলা হয়েছিল। ২০১৭ সালে চিনা গোষ্ঠীকে এই বন্দর ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কার সরকার। ওই বন্দরে বাণিজ্যিক লেনদেন-সহ যাবতীয় কার্যকলাপে চীনের অনুমতি প্রয়োজন।
[৫] হামবানটোটায় সিনোপেকের তৈলশোধনাগার তৈরি হয়ে গেলে শ্রীলঙ্কার তেলের বাণিজ্যে চীনের একচ্ছত্র আধিপত্য দেখা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, ভারতকে টপকে শ্রীলঙ্কায় বাণিজ্য করবে চীন।
[৬] হামবানটোটা বন্দরে চীনের তৈলশোধনগার তৈরি হলে ওই এলাকায় বেইজিংয়ের ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। ভারতকে সমস্যায় ফেলতে চীন ওই বন্দর ব্যবহার করবে কি না, তা সময় বলবে।
আপনার মতামত লিখুন :