সাজ্জাদুল ইসলাম : [২] গাজা উপত্যকার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল (রুমাহ সাকিত ইন্দোনেশিয়া) থেকে রেড ক্রসের সহায়তায় এসব রোগীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত সোমবার (২০ নভেম্বর) এ কথা জানিয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, এএফপি
[৩] মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এএফপিকে বলেন, ২০০ রোগীকে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং বাসে করে তাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আশরাফ আল-কুদরা জানান, ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অবরোধ করে রেখেছে। খান ইউনিসে এএফপির এক সাংবাদিক দুটি বাসকে নাসের হাসপাতালে আসতে দেখেছেন।
[৪] গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর আগে জানিয়েছিল, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডটির উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ইসরায়েলের বোমা হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসক ও রোগী আছেন।
[৫] গাজার উত্তরাঞ্চলে বড় হাসপাতালগুলোর একটি ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, গত রোববার (১৯ নভেম্বর) কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা ছাড়াই ইসরায়েলি বাহিনী ট্যাংক নিয়ে হাসপাতালটি ঘিরে ফেলে এবং হামলা চালায়। ইসরায়েলি ট্যাংক এখনো হাসপাতালের চারপাশ ঘিরে রেখেছে।
[৬] গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত সপ্তাহে আল-শিফা হাসপাতালে যা ঘটেছে, ইসরায়েলি বাহিনী তারই পুনরাবৃত্তি ঘটাতে যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে। তারা ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালটিও দখল করে নিতে পারে।
[৭] গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনী আল–শিফা হাসপাতালে সরাসরি অভিযান চালায়। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গোপনে হাসপাতালটির ভূগর্ভস্থ জায়গায় ঘাঁটি পরিচালনা করছিল—এমন দাবি করে তারা হাসপাতালে তল্লাশি চালায়।
[৮] ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছিল, হাসপাতালের ভূগর্ভে হামাসের ঘাঁটি আছে, কিন্তু তার কোন প্রমাণ পায়নি তারা । তবে আল–শিফা হাসপাতালের কর্মীরা বলছেন, ইসরায়েল এমন কিছু প্রমাণ করতে পারেনি। এক্সএ এসম্পর্কিত একটি সুড়ঙ্গের যে ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসরায়েল তাকে ডাহা মিথ্যা বলে নাকচ করে দিয়েছেন একজন ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। সম্পাদনা: রাশিদ
এসআই/আর/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :