রাশিদুল ইসলাম: [২] নিহতদের মধ্যে ইসরায়েলি সেনা ও হামাসের যোদ্ধাদের পাশাপাশি দুই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী, শিশু, বেসামরিক লোকজন এবং বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। ইসরায়েলি পত্রিকা হারেৎজ বলছে গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৬শ ছাড়িয়েছে। নিহত ইসরায়েলির সংখ্যা ১২’শ।
[৩] এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর গাজা থেকে ১১ লাখ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। শুক্রবার জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা নগরীর নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে কেননা তাদের বাহিনী স্থল অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। তবে জাতিসংঘ এই নির্দেশ প্রত্যবহারের তাগিদ দিয়ে বলেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেয়া অসম্ভব। সূত্র: বিবিসি, সিএনএন
[৪] গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার থেকে এ পর্যন্ত উপত্যকায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৫৩৭ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৬ হাজার ৬১২ জন। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং রাজধানী পূর্ব জেরুজালেমেও।
[৫] যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, গত ছয় দিনে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে নিহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন মার্কিন নাগরিক।
[৬] ইসরায়েলের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ছয় দিনে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ছয় হাজার বোমা ফেলেছে। যার মোট ওজন চার হাজার টন।
[৭] এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী আরও বলে, হামাসের ৩ হাজার ৬০০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার।
[৮] গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৫০০ শিশু ও ২৭৬ জন নারী রয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি।
[৯] হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে গাজায় সাদা ফসফরাস ব্যবহার করছে ইসরায়েল।
[১০] এদিকে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন কাস্সাম ব্রিগেড ইসরায়েলের রায়িম সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের উপশহর সেদিরুতেও রকেট হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে আল কাস্সাম ব্রিগেড। এই হামলায় বহু অবৈধ বসতি স্থাপনকারী আহত হয়েছে।
[১১] সেদিরুত উপশহরের মেয়র এলেন ডেভিডি ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সমালোচনা করে বলেছেন, ইহুদি উপশহরের বাসিন্দাদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ভাবতে হবে।
[১২] এছাড়া পশ্চিম তীরের প্রতিরোধ সংগঠনগুলোকে ইসরায়েলে হামালার আহ্বান জানিয়েছে জিহাদ আন্দোলন। সংগঠনটি বলেছে, ইসরায়েলের আগ্রাসন শুধুমাত্র গাজা উপত্যকায় সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং পশ্চিম তীরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে।
[১৩] ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের সামরিক শাখা-আল কুদস ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু হামজা এক অডিও বার্তায় বলেন, অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম ১৯৪৮ সালের আগেকার ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
[১৪] আবু হামজা বলেন, যুদ্ধের পরিধি ক্রমেই বাড়ছে এবং শত্রুর জন্য কি অপেক্ষা করছে তার ছোট্ট উদাহরণ হচ্ছে দক্ষিণ লেবাননের সীমান্ত। তিনি আস্থার সঙ্গে বলেন, বিজয় সন্নিকটে।
[১৫] হামাসের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ইসরায়েলি নারী ও তার দুই শিশু সন্তানকে মুক্ত ইসরায়েলি সীমান্তে মুক্ত করা হচ্ছে যাতে তারা তাদের উপশহরে চলে যেতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, গত শনিবার ইসরাইলে হামাসের ব্যাপক হামলার পর কোনো এক সময় তাদের আটক করা হয়েছিল। আলজাজিরার হাতে আসা ভিডিওটি দূর থেকে ধারণ করা। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আর/আইকে/এইচএ