সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ইরান ককেশাস অঞ্চলে যে কোন ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের বিরোধী। ইরান-আর্মেনিয়া সীমান্তে পরিবহন যোগাযোগ স্থাপনের জন্য আজারবাইজানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খায় দেশটি ক্ষুব্ধ হয়েছে। সোমবার তেহরানের একজন ইরানী কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন। সূত্র: অ্যারাব নিউজ
[৩] ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি অবশ্য বিচ্ছিন্ন নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের ওপর আজারবাইজানের নিয়ন্ত্রণ পুণপ্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করেছেন। গত মাসে এক দিনের সামরিক অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহীদের তিন দশকের দখলের অবসান ঘটায় আজারবাইজান। তিনি বলেন, ইরানের পরিস্কার অবস্থান ককেশাস অঞ্চলের কোন ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের বিরোধী তারা।
[৪] জাংগেজুরক স্থল করিডোর প্রসঙ্গে নাসের কানানি এ মন্তব্য করেন। এ করিডোর আজারবাইজানের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে তার নাখচিভান ছিটমহল এবং পরে তুরস্কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন স্থাপন করতে পারে।
[৫] ঐতিহ্যগতভাবে প্রতিবেশি তুর্কী ভাষী ও তুরস্কের ঘনিষ্ঠ মিত্র আজারবাইজানের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক তেমন মসৃণ নয়।
[৬] আজারবাইজান গত মাসে হঠাৎ অভিযান চালিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী আর্মেনিয়দের বাহিনীকে পরাজিত করে জাংগেজুরক করিডোরের ঠিক পূর্বে অবস্থিত পার্বত্য নাগোরনো কারাবাখ ছিটমহল পুণর্দখল করে নিয়েছে। কোন কোন বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের পরবর্তী অভিযান হতে পারে আর্মেনিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে। যার লক্ষ্য হবে দেশটির নাখচিভান ছিটমহলের সঙ্গে মূলভূখন্ডের একটি স্থল সংযোগ স্থাপন করা। ১৯২০এর দশক থেকে নাখচিভানের সঙ্গে আজারবাইজানের কোন সীমান্ত সংযোগ নেই। চিটমহলটি আর্মেনিয়া, তুরস্ক ও ইরানের মধ্যে অবস্থিত।
[৭] ইরানের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এ ছিটমহলের আজারবাইজানের সঙ্গে সংযুক্তি আর্মেনিয়া ও তার মধ্যদিয়ে ইউরোপের প্রবেশের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
[৮] আর্মেনিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আর্মেন গ্রিগোরিয়ান গত রোববার তার তেহরানে তার ইরানী প্রতিপক্ষ আলী আকবর আহমাদিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর তেহরান এই মন্তব্য করে। কিনানি বলেন, তারা দক্ষিণ ককেশাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি ও সামরিক গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। সম্পাদনা: রাশিদ