শিরোনাম
◈ সরকার পুঁজিবাজার সংস্কারে আনবে বিদেশি বিশেষজ্ঞ , পাঁচ নির্দেশনা ◈ নতুন সংবিধান প্রণয়ন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার: আসিফ নজরুল ◈ নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম ঢাকা রেঞ্জে চলবে না: ডিআইজি রেজাউল ◈ সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নেওয়া যাবে যেকোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অধ্যাদেশ জারি ◈ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে দ্রুত সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ (ভিডিও) ◈ তাপপ্রবাহ চলছে দেশজুড়ে, স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া অফিস ◈ রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন, গেজেট প্রকাশ ◈ বাংলাদেশের কাছে লিখিত প্রস্তাব চায় যুক্তরাষ্ট্র, তারপর আলোচনা শুরু ◈ আ. লীগের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে অনলাইনেও, পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি

প্রকাশিত : ২৯ জুলাই, ২০২৩, ০৬:০৫ বিকাল
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০২৩, ১২:৫০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘গরু রক্ষার নামে গণপিটুনি রুখতে কী ব্যবস্থা?’ 

সরকার এবং ৬ রাজ্যকে নোটিস পাঠিয়ে প্রশ্ন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের

সালেহ বিপ্লব: [২] ভারতে রাজ্যে রাজ্যে গণপিটুনি বিশেষত, গরু রক্ষার নামে হিংসার ঘটনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার এ বিষয়ে কেন্দ্র এবং কয়েকটি রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি জেপি পারদিওয়ালাকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ। সূত্র: আনন্দবাজার/মানবজমিন।

[৩] গত কয়েক বছরে দেশের একাধিক রাজ্যে ‘গরু পাচারকারী’ তকমা দিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের গণপিটুনির অভিযোগ উঠেছে স্বঘোষিত গরু-রক্ষকদের বিরুদ্ধে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্তদের মৃত্যুও ঘটেছে। এরই প্রতিবাদে ‘ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান উইমেন’ নামে একটি সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই দুই বিচারপতির বেঞ্চ শনিবার ভারত সরকার এবং হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, উড়িষ্যা ও মহারাষ্ট্র সরকারকে নোটিস পাঠিয়ে জবাব চেয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে গো-হত্যা আটকাতে গণপিটুনিতে সব থেকে বেশি মুসলিম মারা গেছে। 


[৪] গত ২৮ জুন বিহারের সারণ জেলায় গরুর মাংস পাচারের অভিযোগে এক মুসলিমকে গণপিটুনির শিকার হতে হয়েছিল। সেই ঘটনার জেরেই নতুন করে শীর্ষ আদালতে দায়ের হয় মামলা। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল শনিবার শুনানিপর্বে বলেন, ‘‘বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করা উচিত কেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের।’’ সমাজমাধ্যমে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে প্ররোচণামূলক প্রচার গণপিটুনির অনুঘটক হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

[৫] প্রসঙ্গত, গণপিটুনির ঘটনা রুখতে ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ নতুন আইন প্রণয়নের কথা চিন্তাভাবনা করার পরামর্শ দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। বিচারপতি এএম খানউইলকরের পাশাপাশি, ওই বেঞ্চে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। যদিও ২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর জমানায় দেশে গণপিটুনির ঘটনা আদৌ বাড়েনি। নতুন আইনেরও কোনও প্রয়োজন নেই।’’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়