চঞ্চল পাল, পশ্চিমবঙ্গ: ২৩০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে কলকাতার পিজি-তে ভর্তি করা হল হাওড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎকে।
ফোনে ছেলের কোনও খবর না পেয়ে হেলারাম হাওড়ার এক স্থানীয় অ্যাম্বুল্যান্স চালককে ডেকে সোজা রওনা দেন বালেশ্বরে। তবে, কোনও হাসপাতালেই ছেলেকে খুঁজে পাননি। স্থানীয় হাইস্কুলের অস্থায়ী মর্গেও যান তিনি। সেখানেও প্রথমে কোন খবর না পেলেও, তার পরে জানতে পারেন, মারা গিয়েছে ছেলে। মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মর্গে। সেখান থেকেই আনতে হবে ছেলের ‘মরদেহ’। জানার পরেও বিশ্বাস করেননি হেলারাম।
তার মন বলছিল, ছেলে এত সহজে হার মানবে না! তার মনের জোরই যেন সত্যি হল। সত্যি হল ছেলের প্রতি অগাধ বিশ্বাস। মর্গে পৌঁছে ছেলের ‘মরদেহ’ শণাক্ত করার বদলে জানতে পারলেন, ছেলে বেঁচে আছে, ফিরে পেলেন জীবিত ছেলেকে!
তবে বালাসোরের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশ্বজিৎকে ছাড়তে চায়নি প্রথমে। অনেক চেষ্টার পরে অ্যাম্বুল্যান্সে করে ২৩০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে হেলারাম মালিক ছেলেকে সোজা নিয়ে আসেন এসএসকেএম-এ। সেখানেই চিকিৎসা, অস্ত্রোপচার চলছে তার।
প্রতিনিধি/একে