এ্যানি আক্তার: ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত মানুষদের মধ্যে দুই বাংলাদেশির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এখনো কোনো তথ্য উপহাইকমিশনের হাতে আসেনি। কিন্তু দুজন আহত হওয়ার খবর আমাদের নতুন সময়কে নিশ্চিত করেছেন উপ-হাইকমিশনের মুখপাত্র রঞ্জন সেন।
রঞ্জন সেন বলেন, আহত ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহীর রাসেলুজ্জামান ও বগুড়ার হাবিবুর রহমান। শুক্রবার রাত থেকে হটলাইন সচল রয়েছে। রাসেলের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি হটলাইনে জানিয়েছেন, রাসেল এখন উড়িষ্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাবিবুর রহমানের নাম পাওয়া গেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস নবান্নের তালিকা থেকে।
তিনি বলেন, উপহাইকমিশনের পক্ষ থেকে এখনো আহত দুই ব্যক্তির বিষয়টি যাচাই করা যায়নি। ইতিমধ্যে উপহাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল উড়িষ্যার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তারা যাওয়ার পর বাংলাদেশি কেউ হতাহত হয়েছেন কি না সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারব।
উপ-হাইকমিশনের হটলাইন নম্বর দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘণ্টায় ৫০টির বেশি ফোন আসছে। সাধারণ লাইন ও হোয়াটসঅ্যাপ দুভাবেই ফোন করা যাচ্ছে। সাধারণ নম্বর চলতে থাকলে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন ঢুকতে পারে না বা একটি কল চলতে থাকলে অন্য কলটি ঢোকে না। এ কারণে হয়তো অনেক সময় ফোন করে পাওয়া যাচ্ছে না। লাইন সব সময় ব্যস্ত থাকছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার উড়িষ্যার বালেশ্বর স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হাওড়া থেকে চেন্নাইর পথে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের অন্তত ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পাশের ট্র্যাকে পড়ে যায়। সে সময় অন্যদিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া সুপারফাস্ট ট্রেনটি লাইনচ্যুত বগিগুলোকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। একটি মালবাহী ট্রেনও সেখানে দুর্ঘটনায় পড়ে। প্রথমে হাওড়া-ব্যাঙ্গালুরু এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। সেসব বগিতে ধাক্কা দিয়ে মালবাহী ট্রেনের ওপর ছিটকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস।
চিকিৎসার জন্য অনেক বাংলাদেশি এই ট্রেনে কলকাতা থেকে চেন্নাই যাতায়াত করেন। এ কারণে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন দুর্ঘটনাবিষয়ক তথ্য জানতে বাংলাদেশিদের জন্য একটি হটলাইন (+৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ হোয়াটসঅ্যাপ) নম্বর দিয়েছে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না