শিরোনাম
◈ ‘মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্যের’ জবাব দিলেন আসিফ নজরুল ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার রিপোর্ট দাখিল সোমবার ◈ জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায় : ডা. জাহিদ ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি ◈ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল ◈ যমুনার সামনে বিক্ষোভকারীদের জুমার নামাজ আদায়, নিরাপত্তা জোরদার, বাড়তি সতর্কতা ◈ নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি ◈ পাকিস্তান যদি পাল্টা আঘাত হানে, তখন তা ঘোষণার কোনও দরকার হবে না: জেনারেল আহমেদ শরিফ ◈ অনিশ্চয়তার মাঝেও পি‌সি‌বি চায় বাংলাদেশ দল পাকিস্তান সফরে আসুক ◈ এই প্রথম হ‌কি বিশ্বকাপে আম্পায়া‌রিং করবেন  বাংলা‌দে‌শের সে‌লিম ও শাহবাজ 

প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০২৩, ০২:৩৪ দুপুর
আপডেট : ২৯ মে, ২০২৩, ০৪:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতীয় অর্থায়নে রাখাইনে নির্মিত সমুদ্রবন্দর উদ্বোধন 

সাজ্জাদুল ইসলাম: মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের  রাখাইন রাজ্যের দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত সমুদ্র বন্দর উদ্বোধন করা হয়েছে।  ভারত বঙ্গোপসাগরে এ বন্দরটি নির্মানে সহায়তা করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় অংশ হিসেবে  নয়াদিল্লি। নতুন বন্দর নির্মাণে অর্থায়ন করেছে। সূত্র: ভিওএ

কালাদান বহুমুখী (মাল্টি-মোডাল) ট্রানজিট পরিবহন প্রকল্পের প্রথম উদ্যোগ হলো এই ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ের সিত্তয়ে বন্দর। বাংলাদেশকে পাশ কাটিয়ে, মিয়ানমারের রাখাইন ও চিন রাজ্যের মধ্য দিয়ে ভারতের স্থলবেষ্টিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে দেশটির অন্য অঞ্চলের সংযোগ গড়ে তোল্ইা  এই প্রকল্পের লক্ষ্য।

ভারতের বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সিত্তয়ে বন্দর মিয়ানমার ও ভারতের মধ্যে উভয়মুখী পরিবহনের নতুন যুগের সূচনা করবে। সেই সঙ্গে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে সমগ্র অঞ্চলে ‘ব্যাপক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা’র দ্বার খুলে দেবে।

মন্ত্রণালয়টি আরও বলেছে, সিত্তয়ে থেকে কালাদান নদীর উজানে ১৫৮ কিলোমিটার জাহাজ চলাচলের পথ নির্মাণের পর ভারতের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য ২১০ কিলোমিটার সড়ক তৈরি হবে। প্রকল্প শেষ হলে এই যোগাযোগ করিডর কলকাতা ও মিজোরাম রাজ্যের মধ্যে পরিবহনের সময় ও খরচ অর্ধেকের বেশি কমে আসবে।

ব্রিটেনের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজের সিনিয়র লেকচারার অবিনাশ পালিওয়াল বলেন, ভারত ও মিয়ানমার ১৫ বছর আগে এই প্রকল্প শুরু করেছিলো। এটি আসলে জন্ম নিয়েছিলো ১৯৬০ এর দশকে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রমরমা বাজারের সঙ্গে ভারতের অর্থনীতিকে যুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে।

তিনি আরো বলেন, এই বৃহত্তর উচ্চাকাঙ্ক্ষা তৈরি হয় ভারতের ‘ লুক ইস্ট’ বা ‘অ্যাক্ট ইস্ট নীতি’র পরিপ্রেক্ষিতে। আর বর্তমানে চীনকে মোকাবেলা করতে এবং ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক উদ্যোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে এই প্রকল্পকে দেখা হচ্ছে। এর কারণ হলো, এটি হচ্ছে সেই অঞ্চল, যেখানে চীনের একাধিপত্য বজায় রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়