জাফর খান: মঙ্গলবার দেশটির সংসদে এই সংক্রান্ত বিলটি পাশ করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। কেউ যদি সমকামিতার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন তবে তাকে ২০ বছর কারাদন্ড ও সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যদন্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে বিলটিতে। সিএনএন
রয়টার্সের প্রতিবেদনে প্রকাশ, দেশটিতে আগে থেকেই সমকামিতা বেআইনি হিসবে গণ্য ছিল। এই অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের বিধানও ছিল দেশটিতে কিন্ত এবারের এই আইনটি বিশ্বে ব্যাতিক্রম এক নজীর স্থাপন করে সমালোচকদের তোপের মুখে পড়েছে।
উগান্ডার আইন ও সংসদ বিষয়ক দপ্তরের প্রধান রবিনা রোয়াকোজো বলেছেন, শিশু, শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্যহীন কোনো ব্যাক্তিসহ কাউকে চাপ প্রয়োগ করে বা অনুমতি ছাড়া যদি কাউকে সমকামিতায় লিপ্ত করা হয় তবে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের আওতায় পড়বে উক্ত অপরাধী।
এর আগে বিরোধী দলের সংসদ সদস্য আশুমান বাসালিরোয়া সমকামিতা প্রতিরোধ বিল ২০২৩ পার্লামেন্টে উত্থাপন করেন। মূলত দেশটির ধর্মীয় সংস্কৃতি, পারিবারিক ঐতিহ্য ও সম্মান রক্ষার্থেই বিলটি যৌক্তিক বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়াও অবাধ যৌনাচারকে নিরুৎসাহিত করতে আইনে পরিবর্তন আনা দরকার বলেও মন্তব্য করেন বাসালিরোয়া।
বিবিসি জানিয়েছে, উগান্ডা ছাড়াও আফ্রিকার ৩০ টি দেশে সমকামিতা নিষিদ্ধ রয়েছে। এর আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইয়োওয়েরি মুসেভেনি বিলটি পাশ করতে সবাইকে সরাসরি ভোট অথবা স্বাক্ষরের আহবান জানান। এপি
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার টুর্ক অবশ্য বিলটির নিন্দা জানিয়ে বলেন, আইনটি স্বাক্ষর হলে উগান্ডায় যারা সমকামিতায় জড়িত তাদেরকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে জানিয়ে দেওয়া হলো যে সমাজে আলাদা একটি শ্রেণীর অস্তিত্ব রয়েছে।
রয়টার্সের বরাত দিয়ে দেশটির সমকামিদের অধিকার রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত এক অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল কর্মী ফ্রাংক মুগিসা এটির বিরোধিতা করেছেন। এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আইনটি সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে যা চরম মানবাধিকার লংঘন।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে দেশটিতে আইনটি কার্যকর হলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছিল হিউমান রাইটস ওয়াচ। ২০০৯ সালে গে’দের জন্য মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিলে পরে তা ২০১৪ সালে পাশ করে আলোচনায় আসে উগান্ডাল। এক্সিয়স ডট কম
জেকে/এএ